বাংলা নববর্ষে নববর্ষে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বার্তা, নতুন বছরে শান্তি, সম্প্রীতি বজায় থাকুক। সকলের ঘরে ঘরে আলো নিয়ে আসুক নববর্ষ। ১৪৩২ সালকে স্বাগত জানিয়ে এক্স হ্যান্ডল পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘নতুন বছরের পুণ্য আলোর দ্যুতিতে আলোকিত হোক সকলের জীবন। শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক বাংলার প্রত্যেক মানুষ।’ সবাইকে ‘শুভনন্দন’ জানিয়েছেন তিনি। পয়লা বৈশাখে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ও পালন করা হয়। সোশাল মিডিয়ায় এই বিশেষ দিনটি নিয়েও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বাংলা দিবস’-এর শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি সদ্যপ্রয়াত বাংলার সঙ্গীতকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করে লিখেছেন – ‘আমি বাংলায় গান গাই’। বাঙালিকে পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। বাংলায় তিনি লিখেছেন, ”পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা। আশা করি, এবছর আপনাদের সব আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবে। আমি সকলের সুখ, সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করছি। ”বাংলা নববর্ষ ছাড়াও এই দিন বিভিন্ন রাজ্যের ক্যালেন্ডারে নতুন বছর পড়েছে। অসম, তামিলনাড়ু, কেরলে নববর্ষ উপলক্ষে সেসব রাজ্যের বাসিন্দাদেরও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ধর্মীয় বিভাজনকারীদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর বার্তা, ‘সকলে একত্রিত হই। আশা, সম্প্রীতি, সৌভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তুলি। হিংসা, বিদ্বেষ এবং ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াই। আমাদের একতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। নতুন বছর যেন খুশি, উন্নতি এবং সুস্বাস্থ্য নিয়ে আসে সকলের জন্য।’ গত মঙ্গলবার থেকে তপ্ত মুর্শিদাবাদ। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অশান্তির চেহারা নেয় সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান এলাকায়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি, ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালাতে হয় পুলিশকে। তিন জনের মৃত্যু হয়েছে এই অশান্তির ঘটনায়। তার পরেই এলাকায় এলাকায় নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার ভাঙড় থেকেও অশান্তির খবর এসেছে। এই পরিস্থিতিতে কাউকে প্ররোচনায় পা না-দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন,আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কিছু ব্যাপারে কেউ কেউ প্ররোচনা দেবে, অনুরোধ করব, কেউ প্ররোচিত হবেন না। প্ররোচনা দেওয়া হলে সেই সময়ে মাথা ঠান্ডা রাখাটাই প্রকৃত জয়। আপনারা প্রত্যেকে জয়ী হোন।’ বাংলা নববর্ষেও সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।