রাজ্যে ২০০৯ সালে বাম সরকার পরিবর্তনের পর তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও টেট ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি প্রাপকরা বঞ্চিত থেকে গেছেন। ১৬ বছর অতিবাহিত হলেও তাঁরা চাকরি থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছেন। সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিল করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বঞ্চিত চাকরি প্রাপক ও চাকরিহারারা একত্রিত হয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিজীবী ও চাকরিপ্রার্থী ঐক্য মঞ্চ শীর্ষক এই সংগঠনের পক্ষ এক সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে ১২/১৩ মঞ্চ একসাথে আগামী ২১ এপ্রিল নবান্ন ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য আগামী পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। এর মধ্যে যদি কোনো পদক্ষেপ না আসে তবে নবান্ন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী দীর্ঘ সময় চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও বঞ্চিত প্রার্থীরা চাকরি পাননি। ফলে দীর্ঘ সময়ে চাকরি চেয়ে পুলিশের নির্যাতন আর কেসের বোঝা বেড়েছে। নিজেদের মেধার ভিত্তিতে যাদের চাকরি চলে গেছে তা ফেরতের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, কর্মসংস্থানের যে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী দিচ্ছেন সেই বিষয়ে আমরা নবান্নে বৈঠকের মাধ্যমে চাকরির দাবি পূরণ চাই। তাঁরা উল্লেখ করেন, কোনো চুনোপুটির সঙ্গে আমরা বৈঠকে রাজি নই। তবে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ হোক বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কারোর মাধ্যমে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজি। যদি আমাদের চাকরির বিষয়ে শর্ত পূরণ না হয় তবে বৃহৎ আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হবে। আমাদের আন্দোলন উদ্দেশ্য নয় নিয়োগ চাই ফলে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে নবান্ন ঘেরাও হবে। যদি অশান্তি হয় তা পুলিশ করবে। একইসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তাঁরা বলেন, তিনি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাঁর অফিস থেকে বের করে দেন। তাই এই আন্দোলনের স্লোগান জীবন যখন বিপন্ন, সবাই চলো নবান্ন। এই মিছিলে সমাজের সর্বস্তরের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক দলের ছাত্র যুবদের আহ্বান জানান।