পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে বেড়ানোর মরশুম

IMG-20250329-WA0289

দার্জিলিঙ: পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে বেড়ানোর মরশুম। গরমের আঁচ গায়ে পড়তেই ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির একাংশ কাছেপিঠে হোক বা দূরে কোথাও, ব্যাগ-পত্র নিয়ে কেউ হয় পাড়ি জমিয়েছেন, কেউ বা যাচ্ছেন। বেশিরভাগের গন্তব্য অবশ্যই পাহাড়। বেড়ানোর ক্ষেত্রে অনেকেই ইদানিং অনেকেই একটু অফবিট ডেস্টিনেশনের খোঁজে থাকেন। বিশেষ এই প্রতিবেদনে তেমনই একটি অফবিট গ্রামের হদিশ মিলবে। দার্জিলিঙের কাছেই সুন্দর এই পাহাড়ি গ্রামে এখনও পর্যটকদের ভিড় তেমনভাবে বাড়েনি।ব্যস্ত জীবনকে দিন কয়েকের জন্য বাই বাই বলে ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিঙের কাছে কায়াবীর থেকে। পাহাড়ের কোলে ছোট্ট এই গ্রাম যেন ঘুমিয়ে আছে। গোটা গ্রাম জুড়ে সবুজ আর সবুজ। এখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আপনার হৃদয় জুড়িয়ে দেবে। রংবেরঙের বাহারি সব ফুল, নাম জানা না জানা কত অর্কিডের সমাহার দেখতে দেখতে নয়ন জুড়িয়ে যাবে। প্রকৃতি যেন নিজের হাতে সাজিয়েছে ছবির মত সুন্দর এই এলাকাকে। এতল্লাটের নৈস্বর্গিক নিস্তব্ধতা একথায় দারুণ এক অনুভূতি এনে দেবে। ছোট্ট পাহাড়ি এই গ্রামের মধ্যেই রয়েছে একটি মন্দির। স্থানীয়রা এটিকে নাগ মন্দির বলে থাকেন। এছাড়াও এখানকার মঞ্জুশ্রী ঝরনার অপূর্ব শোভা নজর কাড়বেই। এই কায়াবীরকে কেন্দ্র করে আশপাশের বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে নিতে পারেন। চাইলে এখান থেকেই গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে আশপাশের তাক লাগানো কিছু জায়গা আপনি ঘুরে দেখে দিতে পারেন। তবে শুধুই যদি কোলাহল এড়িয়ে দিন কয়েকের অপার অবসর চান তাহলে এই গ্রাম একেবারে পারফেক্ট চয়েজ। নিরিবিলিতে নিরালায় এখানেই কাটিয়ে দিন দিন কয়েক। অসাধারণ একটি ফিলিংস আসবে। চোখ বুজলেই সেই অভিজ্ঞতা ঠেকবে স্বপ্নের মতো।কলকাতার দিক থেকে গেলে হাওড়া কিংবা শিয়ালদা থেকে আপনাকে ট্রেন ধরে পৌঁছে যেতে হবে থেকে এনজেপি কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। এনজেপি থেকে কায়াবীরে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করে নিতে পারেন। পাহাড়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকা এই গ্রামে থাকার জন্য বেশ কিছু হোম স্টে রয়েছে। এমনকী কিছু হোটেল-রিসর্টও রয়েছে। থাকা-খাওয়া হিসেবে জনপ্রতি ১২০০-১৫০০ টাকার মধ্যে খরচ হোম স্টেগুলিতে। চাইলে আপনি স্থানীয় হোটেল-রিসর্টেও থাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ একটু বাড়বে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement