বর্তমান সময়ে বিশ্বে তৃতীয় বৃহতম ক্যান্সার হিসাবে কোলন ক্যান্সার গণ্য হয়। মানব শরীরে এই ক্যান্সার এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ফলে ভারতে প্রথম পাঁচটির মধ্যে অন্যতম কোলন ক্যান্সার। এই বিষয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা অ্যাপোলো হসপিটাল কলকাতা ক্যান্সার সেন্টার কলোরেকটাল ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরী করতে কলফিল্ট চালু করল। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল ডিরেক্টর চিকিৎসক সুরেন্দ্র সিং ভাটিয়া, গ্যাস্ট্রোএন্ট্রলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক মহেশ গোয়েঙ্কা, জিআই অঙ্কো চিকিৎসক সুপ্রতিম ভট্টাচার্য সহ বিশিষ্টরা। এদিন চিকিৎসক গোয়েঙ্কা জানান, এই স্ক্রিনিং প্রোগ্র্যাম সমগ্র দেশ জুড়ে শুরু হচ্ছে। ৭৫ শতাংশ ডায়গোনিসিস করার পর রোগ নির্ণয় হয় বলে উল্লেখ করেন। কোলন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে চিকিৎসক জানান, মৃত্যুর হার বেশি হয়। ফলে দেশের মধ্যে জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন স্ক্রিনিং পদ্ধতির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মিঃ গোয়েঙ্কা জানান, ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার ফলে এন্ডোস্কপির মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। এগনোমা পদ্ধতির মাধ্যমে ডায়গোনোসিস্ করা হয় রোগীর দেহে যাতে প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যায়।
একইসঙ্গে চিকিৎসক উল্লেখ করেন, এই ক্যান্সার যদি শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তবে রোবোটিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। সেই পরিস্থিতিতে কোলোনোস্কপির চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত ডায়গোনসিস্ করা হয়।
এই বিষয়ে চিকিৎসক সুপ্রতিম ভট্টাচার্য বলেন, এখন পেটে সার্জারি করতে হয় না কিন্তু প্রাথমিক স্টেজে কেমো দেওয়ার জন্য যদি শনাক্ত করা যায় তবে কোলন ক্যান্সার মুক্ত হতে পারে। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যের বদল হওয়ায় কোলন ক্যান্সার বেড়ে যাচ্ছে। ৪০ বছরের পরে মূলত ক্যান্সার আক্রান্ত বেশি হয়। পরিসংখ্যান উল্লেখ করে চিকিৎসক জানান, ১০০ জনের মধ্যে ১০ জনের পলিপ ক্যান্সার পাওয়া যায় ফলে এই স্ক্রিনিং পদ্ধতিতে দ্রুত ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব।
কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য স্ক্রিনিং টেস্ট করে সেই অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হয়।