পরের বছরেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা ভোট। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে টার্গেট বেঁধে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর হুঙ্কার,
‘ছাব্বিশের নির্বাচনে বাংলায় অন্তত ১৮০ টি আসনে জিতে মমতাকে প্রাক্তন করব’। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু তমলুকে মিছিল করেন। সেই মিছিল থেকে তাঁর বার্তা, ‘নরেন্দ্র মোদী পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১৬টি উপহার দেব। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাব’। শুভেন্দু বলেন, ‘বাংলার সনাতনী সমাজ, তখনই মুক্তি পাবেন , যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন হবেন। এই জেলায় মমতাকে আপনারা হারিয়েছেন। এই জেলার দুটো লোকসভা আসন, নরেন্দ্র মোদীজিকে দিয়েছেন। শপথ নিন, আমরা দেব ১৬, রাজ্যে হব অন্তত ১৮০। মমতাকে প্রাক্তন করব। যোগী আদিত্যনাথের মত, পশ্চিম বাংলাতেও সুশাসন ও সুরক্ষা দেব।’
সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ‘টার্গেট’ বেঁধে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিততে হবে। সেটা ১৯৬ হয়। কিন্তু আমি বলব, আমাদের অন্তত ২১৫ পেতে হবে। এর কম যেন কোনও ভাবেই না হয়।’’ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু তথা বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না শাসকদল তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘২০২১ সালে বলেছিল দুশো পার। পেয়েছিল ৭৭টা। এটা এখন এসে ঠেকেছে ৬০-৬২-তে। ভোটের আগে সেটা ৪০-এ নামবে। সামনের বার ৩০টাও পাবে না বুঝতে পেরে টার্গেটটাই কমিয়ে দিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটেও ‘চারশো পার’-এর কথা বলেছিল বিজেপি। অধরা থেকে গিয়েছিল তা-ও। ২৪০ আসনেই আটকে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা।কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি নিয়েই বৃহস্পতিবার তমলুকে মিছিল করেন শুভেন্দু। দোলের অশান্তির ঘটনার প্রতিবাদে মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এর পরেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময় মেনেই বেলা ১টা নাগাদ তমলুকের রাজবাড়ি ময়দান থেকে শুরু হয় মিছিল। তা বর্গভীমা মন্দির ঘুরে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ পেরিয়ে ক্ষুদিরামের মূর্তির কাছে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে শুভেন্দু বলেন, “দোলের দিন তমলুক শহরের পাশাপাশি নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাট এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সেই সময় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে থানায় পালিয়ে গিয়েছিল। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করতে গেলে পুলিশ তার অনুমোদন দেয়নি। মিছিলের অনুমতি দেওয়ার সময় আদালত জানিয়েছিল, এক হাজারের বেশি মানুষকে নিয়ে মিছিলে হাঁটা যাবে না। আমরা সেই নির্দেশ মেনে এক হাজার মানুষকেই মিছিলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলাম। মিছিল যত এগিয়েছে, তত উৎসাহী মানুষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।”