বুধবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল ছিল বারুইপুরে, সেই মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বারুইপুরের অশান্তির সেই আঁচ এবার বিধানসভাতেও পড়ল। কক্ষে একদিকে যখন ‘চেয়ার ছাড়ো স্পিকার’ বলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধীরা, তখন অন্যদিকে শাসক দলের বিধায়করাও পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করেন। ৩৭ মিনিটে অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি।বিধানসভার গেটের বাইরে কাগজ ছিঁড়ে, আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভ চলে বিমানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে। শুভেন্দু অবশ্য এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন না। বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় তাঁর নেতৃত্বে বিজেপির বিক্ষোভ মিছিল ছিল।
এদিন বিধায়কদের দাবি, কেন শুভেন্দুর উপর ‘হামলা’ হয়েছে, তার জবাব দিতে হবে কক্ষে। একই সঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষের পদত্যাগেরও দাবি তোলেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পালরা।
বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “স্পিকারের নির্বাচনী ক্ষেত্র বারুইপুরে বিরোধী দলনেতার গাড়ির ওপরে আক্রমণ হয়েছে। ৫০জন বিরোধী বিধায়কের গাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। পরিস্থিতি এমন ছিল, যে পুলিশ ও দুষ্কৃতী মিলিত আঁতাতে বিরোধী দলনেতা-সহ বিরোধী বিধায়কদের প্রাণ চলে যেতে পারত। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়, বারুইপুরে গিয়ে নিশ্চিতভাবে যা ঘটেছে, তার প্রমাণ। রাজ্যবাসী তা প্রত্যক্ষ করেছে।”
শঙ্কর ঘোষ আরো বলেন, “পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আমরা বসব। আমাদের বিধায়করা প্রত্যেকেই তাঁদের মত রাখেন। তারপর দলনেতা সিদ্ধান্ত নেন।”
বিধায়ক অসীম সরকার অভিযোগ করেন, ‘আমাদের অভিযোগ দুটো। বিধানসভার ভিতরে বিরোধীদের কোনও বাক স্বাধীনতা নেই। আলোচনা চাইলে করতে দেওয়া হয় না। বিরোধিতা করলে সাসপেন্ড করে।’
বিমান বন্দোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, “বারুইপুরের মানুষ শুভেন্দুকে বাধা দেবেন, এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি বিধানসভায় ছিলাম। শুনেছি, অন্তর্দ্বন্দ্বে লোক হয়নি ওঁদের সভায়। তা ছাড়া, শুভেন্দু ইদানীং যে সব কথা বলছেন, তাতে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে পারেন।”