শান্তি ফেরানোর প্রতিটি চেষ্টার বদলে অপর প্রান্ত থেকে ‘বিরোধিতা’ এবং ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ মিলেছে। ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার ‘লেক্স ফ্রিডমান’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘সন্ত্রাসবাদের জনক’ পাকিস্তানকে কার্যত তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি ভারতের আর এক প্রতিবেশী চিনকে বার্তা দিলেন তিনি। আমেরিকার পডকাস্টারকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক নিয়ে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগেও বিঁধলেন পাকিস্তানকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। যাতে দুই দেশের সম্পর্কের নয়া সূত্রপাত হতে পারে। তবে সব সদর্থক প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিবারই ওপার থেকে বিশ্বাসঘাতকতা পেয়েছি আমরা। এই পরিস্থিতিতে আমরা শুধু আশা করতে পারি ওদের যেন সদবুদ্ধির উদয় হয় এবং শান্তির পথে হাঁটে। ওখানকার জনতাও অত্যন্ত বিরক্ত।”
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আশা করি তাদের (পাকিস্তানের) শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা শান্তির পথ বেছে নেবে। আমি বিশ্বাস করি পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও শান্তি চান। কারণ, তাঁরাও এই বিবাদ এবং অস্থিরতার মধ্যে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা নিশ্চয়ই অবিরাম চলতে থাকা সন্ত্রাসে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, যেখানে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, এমনকি নিরীহ শিশুরাও মারা যাচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বারবার শত্রুতাকে দূরে সরিয়ে বন্ধুতের হাত বাড়িয়েছি আমরা। তা সে লাহোর বাসযাত্রা হোক বা আমার শপথে আমন্ত্রণ। যতবার বন্ধুত্বের হাত বাড়ান হয়েছে ততবারই মিলেছে বিশ্বাসঘাতকতা ও বিরোধিতা। এখন পাকিস্তানের জনতাও চায় হিংসা ও ভয়মুক্ত পরিবেশ। আশা করব পাকিস্তান নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিক পথে চলবে।”