সান্দাকফু থেকে ট্রেক করে নামার পথে অনেকেই রাত্রিযাপন করে এই গুরদুমে। কিন্তু গুরদুমে শুধু রাত্রিযাপন করলে চলবে না। ঘুরে দেখতে হবে গোটা গ্রাম। তবেই তো খুঁজে পাবেন এর সৌন্দর্য। গোটা গ্রাম ঘেরা রডোডেনড্রন আর পাইনে। গরমে অতিষ্ঠ থেকে নিস্তার পেতে দার্জিলিংমুখী হবেন ভাবছেন? সে সুযোগও নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ঘুরছে দার্জিলিং ম্যালের ঘিঞ্জি ছবি। সেই দেখে আপনিও নিশ্চয়ই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু পাহাড়িমুখী হওয়ার সুযোগ এখনও রয়েছে। বরং, দার্জিলিং থেকে আরেকটু দূরে এবং সান্দাকফুর অনেকটা কাছাকাছি বেড়াতে যেতে পারেন। সাধারণত সান্দাকফু ট্রেক করাই পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে, এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যা গাড়িতেই পৌঁছানো যায় এবং উপভোগ করা যায় পাহাড়ের নিস্তব্ধতা। জায়গা হল গুরদুম। শ্রীখোলা যাওয়ার পথে পড়ে এই পাহাড়ি গ্রাম। সান্দাকফু থেকে ট্রেক করে নামার পথে অনেকেই রাত্রিযাপন করে এই গুরদুমে। কিন্তু গুরদুমে শুধু রাত্রিযাপন করলে চলবে না। ঘুরে দেখতে হবে গোটা গ্রাম। তবেই তো খুঁজে পাবেন এর সৌন্দর্য। প্রায় ৮ হাজার ফুট উচ্চতায় সিঙ্গোলিলা জাতীয় উদ্যানে অবস্থিত এই গুরদুম। গোটা গ্রাম ঘেরা রডোডেনড্রন আর পাইনে। বসন্তে গেলে লাল রডোডেনড্রনের দেখাও মিলবে গুরদুমের কোলে বসে। তাছাড়া পাহাড়ি ফুল ও অর্কিড তো আছেই। তবে গুরদুমের সূর্যোদয় সবচেয়ে সুন্দর। ভোরবেলা পাখির ডাকে ঘুম ভাঙলে দেখতে পাবেন কীভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার রং বদলাচ্ছে সূর্যের কিরণে।মানেভঞ্জন থেকে একটি রাস্তা চলে যায় চিত্রে, মেঘমার দিকে। আরেকটি রাস্তা যায় মাজুয়ার দিকে।

গুরদুম যাওয়ার জন্য আপনাকে মাজুয়ার রাস্তা ধরতে হবে। মানেভঞ্জন থেকে গুরদুম মাত্র ১২ কিলোমিটারের পথ। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুরদুম প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। আর যদি দার্জিলিং থেকে যান তাহলে এটি ৯৩ কিলমিটারের রাস্তা। সান্দাকফু ট্রেক করে অনেকেই গুরদুম আসেন। কিন্তু আপনি চাইলে সরাসরি মানেভঞ্জন থেকে গুরদুম পৌঁছে যেতে পারেন।