সোমবার রাজ্যের সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। যা নিয়ে জেলায়-জেলায় অশান্তি বাঁধে। এদিকে বিকেলে যাদবপুর থানা থেকে মিছিলের ডাক দিয়েছিল যাদবপুরের বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। গোলপার্কের দিকে গন্তব্য ছিল তাঁদের। কিন্তু মাঝপথেই মিছিল আটকে দেওয়া হয়। সেই মিছিলে যোগ দেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। যাদবপুর কাণ্ডের পালটা পথে নেমেছে বিজেপিও। তাঁদের দাবি, তৃণমূল-সিপিএম ভাই-ভাই। ক্যাম্পাসগুলি ‘লাল সন্ত্রাস’ মুক্ত করতে হবে।
এদিন বিকেল ৫টা থেকে পাল্টা গোলপার্ক-যাদবপুর মিছিল করে BJP। একই সময়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্মঘটী পড়ুয়াদের মিছিল যাদবপুর থেকে গোলপার্ক হয়ে মিছিল পৌঁছয় যাদবপুর থানা পর্যন্ত। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিল আটকানোর অভিযোগ ওঠে।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েও তৃণমূল-বাম ‘আঁতাঁতে’র অভিযোগ তুলে আজ গোলপার্ক থেকে যাদবপুর ৮বি পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। উলুবেড়িয়ায় গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত দিন ক্ষমতায় আছেন, তত দিন ওখানে(যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়) সেকু-মাকুরা আছে। ওরা দেশদ্রোহী, টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং! ভোট এলেই ওরা বলে ‘নো ভোট টু বিজেপি’।’’ রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যেরও বক্তব্য, “শিঙ্গাঙ্গনের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার। কিন্তু অধ্যাপক, শিক্ষামন্ত্রীকে নিগ্রহ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অগ্নি-সংযোগ, এই রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না।”