ঢাকা: বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (আইভিএসি) ভিসা সংক্রান্ত পরিষেবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে যুবনেতা শরীফ উসমান হাদির মৃত্যুর পর সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হাদির হত্যাই মূল কারণ:
গত বছর ছাত্রদের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা হাদি ১২ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন। এই আন্দোলনের জেরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। ১২ ডিসেম্বর মধ্য ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় নির্বাচন প্রচারের সময় মুখোশধারী বন্দুকধারীরা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির মাথায় গুলি করে। পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে হিংসা:
তাঁর মৃত্যুর পর বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে হিংসা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই সময়েই বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনে পাথর ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। ‘ঢাকা ট্রিবিউন’ পত্রিকা রবিবার জানিয়েছে যে, চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন সংক্রান্ত সমস্ত কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে সাম্প্রতিক ঘটনার পর এই সিদ্ধান্ত রবিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে।
২১ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ:
আইভিএসি জানিয়েছে, বন্দরনগরীতে ভারতীয় ভিসা সংক্রান্ত সব পরিষেবা ২১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর ভিসা আবেদন কেন্দ্র পুনরায় খোলার বিষয়ে পরবর্তী ঘোষণা করা হবে। এছাড়া শনিবার বাংলাদেশের সিলেটে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন কার্যালয় ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
‘ঢাকা ট্রিবিউন’ অনুযায়ী, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, “কোনও তৃতীয় পক্ষ যাতে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে না পারে,” সে কারণেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির কাছে হাদিকে দাফন করা হয়েছে।











