নায়াদেল্লি: বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’-র নির্মাতা প্রখ্যাত ভাস্কর রাম সুতার বুধবার গভীর রাতে নয়ডায় তাঁর নিজ বাসভবনে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর এবং তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বিশাল মূর্তি ‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ গুজরাটে স্থাপিত।
পুত্র অনিল সুতারের দেওয়া তথ্য:
ভাস্করের পুত্র অনিল সুতার বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমার পিতা শ্রী রাম বনজি সুতার ১৭ ডিসেম্বর মধ্যরাতে আমাদের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।” রাম সুতারের জন্ম ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫ সালে মহারাষ্ট্রের ধুলে জেলার গোঁদুর গ্রামে এক সাধারণ পরিবারে। শৈশব থেকেই তাঁর ঝোঁক ছিল ভাস্কর্যের প্রতি।
১৯৯৯ সালে পদ্মশ্রী ও ২০১৬ সালে পদ্মভূষণে সম্মানিত
তিনি মুম্বাইয়ের জে. জে. স্কুল অব আর্ট অ্যান্ড আর্কিটেকচার থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন। সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে ধ্যানমুদ্রায় মহাত্মা গান্ধী এবং ঘোড়ায় আরোহী ছত্রপতি শিবাজীর মূর্তি তাঁর উল্লেখযোগ্য সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে। শিল্পকলায় অবদানের জন্য তাঁকে ১৯৯৯ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১৬ সালে পদ্মভূষণে সম্মানিত করা হয়। সম্প্রতি তিনি মহারাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘মহারাষ্ট্র ভূষণ’ও লাভ করেন।
রাম সুতার কে ছিলেন?
তিনি ‘স্ট্যাচু ম্যান’ নামেও পরিচিত ছিলেন এবং ব্রোঞ্জ ও পাথরের উপর অসাধারণ দক্ষতার জন্য ভারত ও বিদেশে বিপুল সম্মান অর্জন করেন। সাধারণ পটভূমি থেকে উঠে এসে তিনি ভারতের অন্যতম খ্যাতনামা শিল্পীতে পরিণত হন।
‘স্ট্যাচু অব ইউনিটি’ এনে দেয় বিশ্বখ্যাতি:
নয়ডায় বসবাসকারী রাম সুতারের স্টুডিওও সেখানেই ছিল। গুজরাটের কেভাডিয়ায় অবস্থিত ১৮২ মিটার উচ্চ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তির প্রধান ভাস্কর হিসেবে তিনি বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি নির্মিত হয়।
অন্যান্য শিল্পকর্ম:
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে মহাত্মা গান্ধীর ধ্যানমুদ্রার মূর্তি, ড. বি. আর. আম্বেদকর, ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ এবং ভারত ও বিদেশের বহু জাতীয় নেতা ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের মূর্তি। তাঁর ভাস্কর্যগুলি জীবন্ত অভিব্যক্তি ও সূক্ষ্ম কারুকার্যের জন্য সুপরিচিত।











