কৃষ্ণনগর: ​​মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে “বিপজ্জনক” বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) চলাকালীন ভোটার তালিকা থেকে একজনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়লে তিনি প্রতিবাদ করবেন।
শাহের উপর তীব্র আক্রমণ শুরু করে, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে এক সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিপজ্জনক। তার চোখে এটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তিনি এক চোখে ‘দুর্যোধন’ এবং অন্য চোখে ‘দুঃশাসন’ দেখতে পান।”
এসআইআর-কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে:
ব্যানার্জি অভিযোগ করেছেন যে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর কে
রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “যদি ভোটার তালিকা থেকে একজনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়, তাহলে আমি প্রতিবাদ করব। পশ্চিমবঙ্গে কোনও ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করা হবে না। তারা ভোটের জন্য এতটাই ক্ষুধার্ত যে তারা নির্বাচনের মাত্র দুই মাস আগে এসআইআর পরিচালনা করছে।” ব্যানার্জি বলেন যে তিনি নিজে এখনও তার গণনার ফর্ম জমা দেননি।
বাঙালিদের বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে::
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “এখন কি আমাকে দাঙ্গাবাজদের দলের কাছে আমার নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে?” কেন্দ্রীয় সরকার বাঙালিদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ এনে ব্যানার্জি বলেন, “আমাদের একজন (কেন্দ্রীয়) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন যিনি সমস্ত বাঙালিকে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে ডিটেনশন সেন্টার পাঠানোর জন্য যেকোনো কিছু করবেন। কিন্তু আমরা কাউকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বহিষ্কার করতে দেব না। যদি কাউকে জোর করে বহিষ্কার করা হয়, আমরা জানি কীভাবে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।”
বিজেপি-অনুমোদিত কর্মকর্তাদের বাংলায় পাঠানো হয়েছে:
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার জন্য বিজেপি-অনুমোদিত কর্মকর্তাদের মোতায়েন করছে। তিনি দাবি করেন, “পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য দিল্লি থেকে কিছু বিজেপি-অনুমোদিত লোককে পাঠানো হচ্ছে। তারা এসআইআর শুনানির সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন।”