বঙ্গভূমি সাহিত্য পত্রিকার বার্ষিক সাহিত্য সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় গেল কলকাতার বিদ্যাসাগর মেট্রোপলিটন কলেজে সকাল ১০:৩০ থেকে বিকাল ৪:৩০ পর্যন্ত। সহযোগিতায়-বিদ্যাসাগর মেট্রোপলিটন কলেজ, প্রকাশনা সহযোগিতা করেন- বর্ণাক্ষর সাহিত্য প্রকাশন(আরিজিত মিত্র)। অসংখ্য (প্রায় দুই শতাধিক) গুণীজনদের নিয়ে এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলা, আসাম, ত্রিপুরা, উড়িষ্যার থেকে আগত কবি-সাহিত্যিক, নৃত্য শিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী, চিকিৎসক, গবেষক, ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক, শিক্ষক, পরিবেশকর্মী উপস্থিতিতি চোখে পরার মতো ছিলো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিথি হিসেবে ড. পবিত্র সরকার (বিশিষ্ট ভাষাবিদ,শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক ও প্রাক্তন উপাচার্য; রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়) ড.সর্বজিৎ যশ (ইতিহাস গবেষক, লেখক, অধ্যাপক বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়),ড.অর্ঘ্য সরকার (অধ্যক্ষ-বিদ্যাসাগর মেট্রোপলিটন কলেজ),প্রণব কুমার নাথ (প্রাক্তন বিধায়ক, দক্ষিণ করিমগঞ্জ, আসাম),ড. মহীতোষ গায়েন (ইতিহাস গবেষক – সিটি কলেজ, কলকাতা,ভাইস প্রেসিডেন্ট – ওয়েবকুপা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি)-(প্রধান অতিথি)ঋতব্রত মহল (জি বাংলা ,সোনার জলসাঘর চ্যানেলের জনপ্রিয় “শ্রী-খোল” বাদক) শ্রী দীপক কুমার মৃধা ও স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সাহিত্যিক)ড. সমুদ্র বসু (বিশিষ্ট সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও সমাজসেবী) ড.দীপ্তি মুখার্জী (আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক ও সমাজসেবীকা) ড. নীহার রঞ্জন দেবনাথ (স্বর্ণপদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার, সমাজসেবী ও সংগঠক( আসাম) মানব মুখোপাধ্যায়(কৃপাণ) (চেয়ারম্যান- জেনারেশন অ্যাচিভার্স, কবি সাহিত্যিক ও সমাজসেবী),কুন্তল অধিকারী (বিশিষ্ট শিক্ষক, ইতিহাস গবেষক, প্রাবন্ধিক ও সমাজসেবী), মহাশ্বেতা বন্দোপাধ্যায় (বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক ও সমাজসেবিকা), ড. প্রবীর রায় (বিশিষ্ট অভিনেতা, কবি-সাহিত্যিক ও সামাজসেবী)সুধীন শীল (ইউটিউব চ্যানেল-স্বস্তি বার্তা, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক)অজয় ভট্টাচার্য (বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক, অভিনেতা, শিক্ষক ও সমাজসেবী),ড.রেশমা খাতুন (বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক, কবি-সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষিকা), প্রাণয় নাথ (গবেষক, অধ্যাপক ও সমাজসেবী- ত্রিপুরা), রাজদীপ নাথ (আইন বিভাগের ছাত্র, ত্রিপুরা), শুভ্রদীপ ঘোষ সম্পাদক ফিউচার ফর নেচার ফাউন্ডেশন প্রমুখ। পন্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছবিতে মালা ও পুষ্পার্ঘ্য দান করে উদ্বোধনী সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, শ্রীনিধি সামন্ত, সান্তনা তরফদার, পিযুষ রায়(ভাওইয়া শিল্পী, শিলিগুড়ি), নৃত্য পরিবেশন করেন- বনবীণা মুখোপাধ্যায় ও সুজন দে(শিলিগুড়ি)। একাঙ্ক নাটকে- ডালিয়া রায়, প্রায় ৫০জন কবি-সাহিত্যিক কবিতা পাঠ করেন। গুণীজনদের বক্তব্য, আলোচনার মধ্য দিয়ে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছিল। মুখরিত হয়ে উঠেছিল কবি-সাহিত্যিকের মধ্যে এক প্রাণের উন্মাদনা। বিশ্ববঙ্গীয় সাহিত্য কলা আকাদেমি অধিভুক্ত পত্রিকা- বঙ্গভূমি সাহিত্য পত্রিকার সভাপতি- দেবনারায়ণ দাস, মুখ্য উপদেষ্টা- ড.মহীতোষ গায়েন, দুই যুগ্মসম্পাদক ড.সহদেব দোলুই ও ড.অর্ণব দত্ত, সংগঠক- রাজদূত সামন্ত, আহেদা খাতুন, রাজেশ মন্ডল, কেয়া চক্রবর্তী, অতসী মন্ডল, যোগমায়া মন্ডল, ডালিয়া রায়, অঙ্কেশ অধিকারী, সজল সাঁতরা,সুজাতা সাহা, তন্ময় সাঁতরা, সায়ন কুন্ডু, দীপঙ্কর পোড়েল প্রমুখদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উজ্বলতম হয়ে ওঠে। এই অনুষ্ঠানে ১১১জনের লেখা কবিতা,গল্প, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনী ও চিত্র নিয়ে একটি সংকলন “আরোহী” এবং ড.সহদেব দোলুই রচিত ইতিহাস গবেষণামূলক উপন্যাস- “ভূরশুটের বীরাঙ্গনা; রাণী ভবশঙ্করী” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়, এছাড়াও কলকাতা বইমেলা প্রকাশিত হবে ড.সহদেব দোলুই রচিত গল্প গ্রন্থ “মুখোশের অন্তরালে” এর প্রচ্ছদ উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে বহু গুণীজনদের ‘বঙ্গ রত্ন সম্মান’, ‘একরাট রাজ চক্রবর্তী উপাধি, কাব্য বিদ্যারত্ন, মানব রত্ন, হাওড়া জেলার শিক্ষা গৌরব সম্মান, জীবন-কৃতী সম্মান, মাদার টেরেজা সম্মান, আরোহী সম্মান, অন্নদাশঙ্কর রায় স্মৃতিসম্মান, রবীন্দ্র স্মৃতিসম্মান, উত্তর বঙ্গের ঐতিহ্যমন্ডিত রায় পরিবারের নরেশ চন্দ্র রায় স্মৃতিসম্মান, মণীশ চন্দ্র রায় স্মৃতিসম্মান প্রদান করা হয়।সব থেকে উল্লেখযোগ্য হল আচার্য সম্মান পান- ড. পবিত্র সরকার, ড.সর্বজিৎ যশ, ড.মহীতোষ গায়েন ও ড. অর্ঘ্য সরকার। অনুষ্ঠানে গুণীজনদের হাতে কাছু ভেষজ চারাগাছ তুলে দেন রাজদূত সামন্ত মহাশয়।অনুষ্ঠানের শেষে মুখ্য উপদেষ্টা ড.মহীতোষ গায়েন এক সামাজিক বার্তা দেন- (সাহিত্যের সাথে সাথে আমারা সামাজিক কাজ করে থাকি, বাংলা ভাষার প্রসার কর্মসূচি রূপায়ণ), সভাপতি এবং দুই যুগ্মসম্পাদক বলেন সাহিত্য ও সমাজকল্যাণ আমাদের অঙ্গীকার। জয় হোক কবিদের জয় হোক কবিতার, সমাজকল্যাণ হোক আমাদের অঙ্গীকার।











