সপ্তর্ষি সিংহ
বিএলও কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে রাজ্যের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের একাংশ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে আবেদন জানিয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী বিএলও ডিউটি প্রতিরোধ মঞ্চ জানিয়েছে, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সকল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীবৃন্দকে এই ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, বিএলও-দের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা এমন স্কুলে পড়ান, যেখানে একজন বা দু’জন মাত্র শিক্ষক রয়েছেন। তাই তাঁদের যদি এসআইআর-এর কাজে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়, তাহলে স্কুলে পঠনপাঠন থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ করার কেউ থাকবে না। ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দেবে। সেক্ষেত্রে পড়া থেকে বঞ্চিত হবে ছাত্রছাত্রীরা।তাঁদের যুক্তি, এমনিতেই পঠনপাঠন ছাড়া বিদ্যালয়ে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের স্কুল চলাকালীন এবং স্কুলটাইমের বাইরেও নিযুক্ত থাকতে হয়। তাই আলাদা করে আবার বিএলও ডিউটি পালন করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই স্পষ্ট করেছেন তাঁরা।ভোটকর্মী ঐক্য মঞ্চ’–এর তরফে স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, ‘বিএলও–রা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাই তাঁরা এই দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করছেন। নিচুতলায় শাসক ও বিরোধী দলের নেতা–নেত্রীরা তাঁদের ভয় দেখাচ্ছেন। তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের কোনও সমস্যা হলে কে দায়িত্ব নেবেন? কমিশন আগে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক।বিএলও–দের দিক থেকে আরও –অভিযোগ রয়েছে। যেমন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য তথ্য সংগ্রহ করে তা আপলোডের জন্য নিজেদেরই মোবাইল ফোন ও ডেটা প্যাক ব্যবহার করতে হবে তাঁদের। তার জন্য কেন তাঁদের আলাদা ভাতা দেওয়া হবে না, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।কিন্তু, কেন বিএলও হতে অনীহা? এক সরকারি কর্মীর কথায়, যথাযথ কাগজপত্র না থাকার কারণে কোনও ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ চলে গেলে আমরাই চক্ষুশূল হয়ে যাব। আবার কারও নাম ঢোকালে কমিশনের কোপে পড়তে হবে। তাই কেউ নিজের কিংবা বাবা মায়ের শরীর খারাপের অজুহাত দিচ্ছেন। যাঁদের বাবা, মা নেই তাঁরা ছেলে মেয়ের পড়াশোনার ক্ষতির কথা বলছেন।











