এসএসকেএম হাসপাতালে নাবালিকা যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মী অমিত মল্লিককে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারকের। সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই অভিযুক্তকে বিশেষ আদালতে পেশ করে তদন্তকারী আধিকারিক। এদিন বিকেলে শুনানির সময় আদালত কক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। বিচারক নির্দেশ দেন, ‘মামলার সংবেদনশীলতা বজায় রাখতে এবং নাবালিকার পরিচয় গোপন রাখতেই ইন-ক্যামেরা শুনানি জরুরি।’ ফলে আদালতের নির্দেশে রুদ্ধদ্বার কক্ষে চলে এই শুনানি। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের আদালতে তোলা হয়েছিল। সেদিন বিচারক একদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এরপর শুক্রবার বিশেষ পকসো আদালতে মামলার শুনানি হয়। আদালতে পুলিশের তরফে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক তদন্তমূলক পদক্ষেপের আবেদন জানানো হয়।
সূত্রের খবর, পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে ‘মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষা’, নির্যাতিতার মায়ের গোপন জবানবন্দি গ্রহণ এবং ডিএনএ পরীক্ষার জন্য অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার রক্তের নমুনা সংগ্রহের অনুমতিও চাওয়া হয়। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বলে আদালত সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অমিত মল্লিক এসএসকেএম হাসপাতালের একটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার হাসপাতালের আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে এসেছিল ওই নাবালিকা। আউটডোরের টিকিট করাতে গিয়েছিল তার মা। দাদুর সঙ্গে বসেছিল মেয়েটি। অভিযোগ, নিজেকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে ট্রমা কেয়ারের শৌচাগারে মেয়েটিকে নিয়ে যায় অমিত মল্লিক। সেখানেই চলে নির্যাতন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতাল প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর দু’টি পৃথক তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি, রাজ্য মহিলা কমিশনও বিষয়টি নিজস্বভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তকে জেরা করে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীরা হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, মেডিকেল রেকর্ড ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের বয়ান খতিয়ে দেখছেন।
এই প্রসঙ্গে এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, ‘অভিযুক্তের জেরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেডিকো-লিগ্যাল রিপোর্ট ও ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলের উপরই তদন্তের পরবর্তী ধাপ নির্ভর করবে।’ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, অমিত মল্লিককে ফের ৩১ অক্টোবর আদালতে পেশ করা হবে।










