আগামী ১ নভেম্বর থেকেই বাংলায় শুরু হতে চলেছে এসআইআর। খবর নির্বাচন কমিশন সূত্রে। দ্রুতই ডাকা হতে পারে সর্বদলীয় বৈঠক৷ এদিকে জল্পনা চলছিলই যে কোনওদিনই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে যেতে পারে এসআইআর৷ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যকাল সূত্রে খবর ছিল, এসআইআর-এর জন্য প্রস্তুতি শেষ৷ অবশেষে জানানো হল দিনক্ষণ। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই জারি হবে নোটিফিকেশন৷
কমিশন সূত্রের খবর, ৩ মাসে শেষ করা হবে এসআইআর। বাংলা ছাড়াও আগামী বছর নির্বাচনমুখী রাজ্যগুলি এবং আরও কিছু রাজ্যে শুরু হবে এসআইআর প্রক্রিয়া। একই সাথে ১০-১৫টি রাজ্যে এই দফায় এসআইআর করাতে পারে কমিশন।
ইতিমধ্যেই এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু আগে শেষ পর্যায়ের সমস্ত রকমের প্রস্তুতি সেরে রাখার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে৷ জানানো হয়েছে, শুক্রবার থেকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এছাড়াও এসআইআর কাজের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মীকে অফিসে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সমস্ত জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বা ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার এবং ইলেক্ট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের অফিসে এসআইআর-এর জন্য হেল্প ডেস্ক খুলতে হবে।এসআইআরের দিন ঘোষণার পরপরই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হবে বলেও খবর৷ জানা গিয়েছে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের স্তরে যেমন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হবে তেমনই, প্রত্যেকটি জেলার জেলাশাসকরাও সর্বদলীয় বৈঠক ডাকবেন। বৈঠকে যা আলোচনা হবে তার সমস্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠাতে হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশ জেলাশাসকদের বলেই কমিশন সূত্রে খবর।
বিএলওদের অর্থাৎ বুথ লেভেল অফিসারদের প্রশিক্ষণের জন্য ৭ দিনের সময় দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা। ইলেকট্ররাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন যুগ্ম নির্বাচনী আধিকারিক পর্যায়ের আধিকারিকেরা। জেলাশাসকদের নির্দেশ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের বলেই কমিশন সূত্রে খবর।











