হাসিনাকে নিয়ে রায় নভেম্বরেই 

IMG-20251023-WA0125

প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়লেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা চলছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধদমন আদালতে। শুনানি ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে।  

আগামী ১৩ নভেম্বর রায় শোনাবে আদালত।   বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত বছর ‘জুলাই আন্দোলন’-এর সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হাসিনা। বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় আদালতে শুনানি পর্ব শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিন বিচারপতির বেঞ্চে হাসিনার বিরুদ্ধে মামলাটি চলছে। বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি মোহাম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মোহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। হাসিনা-সহ মোট তিন জন অভিযুক্ত রয়েছেন এই মামলায়। অপর দু’জন হলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামুন বর্তমানে এই মামলায় নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। বৃহস্পতিবারই এই মামলার শুনানি শেষ হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। শেষবারের বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন। এর আগে চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনার ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এদিনও আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি চান। বাংলাদেশের ঘোষিত ‘পলাতক’ দুই অভিযুক্ত হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি দুই অভিযুক্তের খালাসের আর্জি জানান। পরে ট্রাইব্যুনাল জানায়, আগামী ১৩ নভেম্বর হাসিনাদের বিরুদ্ধে মামলায় রায় ঘোষণার দিন জানানো হবে। এখন প্রশ্ন হল, গণহত্যায় দোষী প্রমাণিত হলে সাজা হিসেবে কী শাস্তি হতে চলেছে মুজিবকন্যার? ফাঁসি নাকি যাবজ্জীবন কারাবাস? এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ভারতের ‘রাজনৈতিক আশ্রয়ে’ রয়েছেন। তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য বারবার নয়াদিল্লির কাছে আবেদন জানিয়েছে ইউনুসের সরকার। এই পরিস্থিতিতে হাসিনা ঢাকায় পা রাখলেই গ্রেফতার হতে পারেন।  জনবিক্ষোভের জেরে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে ঢাকা থেকে উত্তরপ্রদেশের হিন্দন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চলে আসেন হাসিনা। আপাতত ভারতেই সাময়িক আশ্রয়ে রয়েছেন তিনি। হাসিনাকে ফেরত চেয়ে কূটনৈতিক স্তরে ভারতের কাছে অনুরোধ  পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের তরফে ওই কূটনৈতিক অনুরোধের প্রাপ্তিস্বীকার করা হলেও এখনও পর্যন্ত পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে জানানো হয়নি।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement