পরের বছরেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার বাংলার ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের তোড়জোড় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রক্রিয়া শুরুর আগেই কমিশনের নজরে বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও’দের ভূমিকা। রাজ্যের অনিচ্ছুক ৬০০ বিএলও’কে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। কেন কাজ করতে চাইছেন না তাঁরা, সেই বিষয়ে জানতে চেয়েই বিএলও’দের চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ৬০০ বুথ লেভেল অফিসারকে শো কজ় করেছে রাজ্যের সিইও দফতর। সূত্রের খবর, ওই সব বিএলও কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। কেন তাঁরা অব্যাহতি চাইছেন, সেই কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিএলও-দের।দিন কয়েক আগে থেকেই বিএলও-দের নিয়োগ শুরু করেছে কমিশন। জানা গিয়েছে, একাধিক জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা বিএলও-র নিয়োগপত্র গ্রহণ করছেন না। কেন তাঁরা নিয়োগ চান না, তার কারণ জানাতে বলা হয়েছে। আগেও বেশ কয়েক জন বিএলও-কে একই কারণে শো কজ় নোটিস ধরানো হয়েছে। সেই নোটিস পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশও রয়েছে। বিহারে এসআইআর পর্ব শেষ। তার পরেই ভোট ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শুধু বিহার নয়, গোটা দেশেই এই সমীক্ষা করা হবে। এ রাজ্যে এসআইআরের প্রস্তুতি চলছে। সব জেলাতেই ম্যাপিং এবং আপলোডিংয়ের কাজ দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ‘ম্যাপিং’-এর ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকার সঙ্গে ২০০২ সালের এসআইআর-তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই আবহে এ বার বিএলও-দের একে একে শো কজ় নোটিস পাঠানো শুরু করেছে কমিশন।











