কলকাতা: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরেই চারিদিক সেজে উঠবে আলোর রোশনাইতে। তবে আলোর উৎসব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিণত হয় শব্দদূষণে। আর এই উৎসবের মরশমে অর্থাৎ দীপাবলীতে খুবই চিন্তায় থাকেন অভিনেত্রী অনিন্দিতা রায়চৌধুরী। নিজের সন্তান-সহ বয়স্ক মানুষ ও পোষ্য রয়েছে অভিনেত্রীর বাড়িতে। সবাইকেই এইসময় সামলে রাখতে হয়। তাই নানা দুশ্চিন্তা ভিড় করে আসে তাঁর মাথায়। এই নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি পোস্ট করেন অনিন্দিতা। অভিনেত্রীর ওই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দেখা যাচ্ছে তাঁর সন্তান ও সারমেয় সন্তানকে। তাদের দু’জনের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে অনিন্দিতা লিখেছেন, ‘কালীপুজো আসলে একটু চিন্তায় থাকি আজকাল, বাড়িতে চারপেয়ে আছে যাদের তারা রিলেট করতে পারবেন, এই বছর একজন ছোট্ট দুপেয়েও আছে। আর বয়স্করা তো আছেনই, এবার প্রশ্ন হলো আগে কি শব্দবাজি ফাটানো হতো না? হতো, অবশ্যই হতো, আমি অনেক ছোটবেলাতে পাড়ার বড়ো দাদাদের দোদোমা বানিয়ে ফাটাতে দেখেছি, কে কটা কালিপটকা হাতে করে ফাটাতে পারবে তার জোরদার প্রতিযোগিতা দেখেছি। চকলেট বোম ফাটাতে তো দেখেইছি, বাড়িতে বয়স্ক মানুষ ও ছিলেন, ছোটো বাচ্চাও ছিলো।’ অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘আসলে আগে অনেক কিছুই হতো এখনের মতোই। মানুষ ভুল করতো, পাড়ায় দামাল ছেলে থাকতো, স্কুলে অবাধ্য বাচ্চা থাকতো, তাহলে কি তখন সচেতনতা কম ছিলো মানুষের? হতে পারে!!কিন্তু পাড়ার সবচেয়ে অবাধ্য বাচ্চাটার কান মুলে দিতে পারতো জেঠু বা কাকু বা কোনো গুরুজন, বাচাল ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলের উঠোনে কান ধরে দাঁড়াতে পারতো। পাশের বাড়ীতে অসুস্থ মানুষ বা ছোট বাচ্চা বা কুকুর বিড়াল বা পোষা পাখি থাকলে পাড়ার দাদারা সেই বাড়ির পাশে কেউ বাজি ফাটালে তাকে শাসন করতে পারতো। আমার মনে হয় মানুষের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বেশি ছিলো তখন, যেমন সহিষ্ণুতা, সহযোগিতা, সহানুভূতি, মানবিকতা, মূল্যবোধ!! যেমন এখন বেশি আছে মোবাইলের আনিলিমিটেড ইন্টারনেট কানেকশন।!! যেমন আমিও এইসব বড়ো বড়ো কথা লিখছি আমার আনিলিমিটেড ইন্টারনেট কানেকশন- এ !!!!’ অভিনেত্রীর পোস্টের ছত্রে ছত্রে শব্দবাজির নেতিবাচক দিকই তুলে ধরা হয়েছে। উৎসবে যাতে একজনের আনন্দ অন্যজনের বিপদের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় তা নিয়েই সরব হয়েছেন অভিনেত্রী।