দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’ কাণ্ডে কিনারা করতে সব অভিযুক্তকেই জালে আনল পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার শেষ অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তার নাম সফিকুল শেখ। এই ঘটনায় তাকেই মূল অভিযুক্ত বলে ধারনা তদন্তকারীদের। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সব অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায় দ্রুত কিনারার আশা দেখা দিল। রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল। মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যে পরপর পুলিশের হাতে গ্রেফতার দুর্গাপুর কাণ্ডের শেষ দুই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল দুর্গাপুর নগরনিগমের অস্থায়ী কর্মী নাসিরউদ্দিন শেখকে। এরপর দুপুরে খবর আসে, শেষ অভিযুক্ত সফিকুল শেখকেও জালে এনেছেন তদন্তকারীরা। বিজড়া এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল সে। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেখানকার গোপালমাঠ থেকে গ্রেফতার করে সফিকুলকে। তবে এই বিষয়ে এখনই বিস্তারিত তথ্য জানাতে নারাজ পুলিশ প্রশাসন। আগেই ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা জানিয়েছিল জেলা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আশ্বাস দিয়েছিলেন, জড়িতরা কড়া শাস্তি পাবেই। এবার অভিযোগের দু’দিনের মধ্যে সব অভিযুক্ত ধরা পড়ায় এবার ঘটনার দ্রুত কিনারা হবে বলে আশাবাদী পুলিশ মহল। এদিকে দুর্গাপুরের নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে বলে খবর। হাসপাতালের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। মেডিক্যাল রিপোর্টে ব্যাপক রক্তপাতেরও উল্লেখ করা হয়েছে। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আপাতত চিকিৎসাধীন রয়েছেন নির্যাতিতা। পাশাপাশি ওই রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, যৌনাঙ্গের ভিতরের অংশে আঘাত লেগেছে, তাতে ব্যাপক রক্তপাত হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন ধর্ষণের কারণেই এই রক্তপাত। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার, ১০ অক্টোবর দুর্গাপুরের পরাণগঞ্জে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। রাত ৮টা নাগাদ বন্ধুর সঙ্গে খাবার কিনতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী। তখনই তিনি নির্যাতনের শিকার হন বলে জানা যায়। অভিযোগ, পরাণগঞ্জে জঙ্গলের জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। শনিবার সকালে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য।