শিলিগুড়ি: নেতাজি কেবিন কে নিয়ে কবিতা লিখলেন শিলিগুড়ির যুবক অসীম কুমার দাস। তার লেখা কবিতা এখন শিলিগুড়ির মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। এর আগেও নেতাজি কেবিন এর নাম সারা বাংলায় ছড়িয়েছে বিভিন্নভাবে। কখনো বইয়ের মধ্যে, কখনো কাগজে আবার কখনো টেলিভিশনের পর্দায়। শিলিগুড়ি চায়ের জন্য বিখ্যাত, গত ৫০ বছরে একের পর এক চায়ের দোকান শিলিগুড়িতে খুলেছে। কিন্তু নেতাজি কেবিন যেন সবাইকেই ছাপিয়ে ছাড়িয়ে গেল। এত বিপুল জনপ্রিয়তা তাও উত্তরবঙ্গের মতো শিলিগুড়ির মতো এক জায়গায় ছোট শহরে ভাবাই যায় না। এখানকার চা না খেলে যেন কারো আত্মশুদ্ধি হয় না। কলকাতা থেকে যে বা যারাই আছেন, আসেন সবার এক কথা শিলিগুড়িতে গেলে নেতাজি কেবিনে চা খাব। এই বিপুল জনপ্রিয়তা কিন্তু কখনো হারিয়ে যায়নি, মানুষ বদলিয়ে গেছে, শহরের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু নেতাজি কেবিন আছে নেতাজি কেবিনে। তাই কবিতা অথবা গল্প অথবা সংবাদ মাধ্যমে নেতাজি কেবিনের খবর প্রকাশ হওয়া এ যেন প্রণবেন্দু বাগচীর কাছে কোন নতুন ঘটনাই নয় আমি গর্বিত আমার নেতাজি কেবিনের জন্য, আজকে আমি বেশি কিছু করিনি আমার বাবা এসে করে দিয়ে গেছে কারণ যেভাবে আমার বাবা শুরু করেছিল, আমার পক্ষে এই জায়গা আশা কোনভাবেই সম্ভব হতো না। আজকে আমি গর্ব করে বলতে পারি শিলিগুড়ির কোনায় কোনায় আপনি যান, কিন্তু যা আপনি পাবেন না নেতাজি কেবিনের মত। এটা আমার অহংকারও বলতে পারেন। নেতাজি কেমন কেন সবার ঊর্ধ্বে? কেন এত ধারাবাহিকতা? প্রণব বাবু জানালেন ব্যাপারটাকে ধরে রেখেছি, আধুনিকতার প্রলোভনে পা দিইনি। সেই কারণেই হয়তো সাফল্য এসেছে। আমার বিশ্বাস, এইভাবে এগিয়ে যাবে আমাদের সবার প্রিয় নেতাজি কেবিন। আর এটা হবেই, দাবি প্রণব বাবুর।