বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। শনিবার রাতভর প্রবল বর্ষণে একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। মৃত একাধিক। বন্ধ বহু রাস্তা। জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। বিভিন্ন হোটেলে আটকে পর্যটকরা। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এই ঘটনাতে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এই প্রসঙ্গে এক্স হ্যাণ্ডেলে পোস্ট করে উত্তরবঙ্গবাসীর প্রতি সহানুভূতিও প্রকাশ করতে দেখা গেল তাঁকে। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ার এক বার্তায় উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত এলাকার মানুষের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে অভিষেক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকায় লাগাতার বৃষ্টি ও ধসে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মিরিক, জোরবঙ্গলো-সুখিয়াপোখরি এবং ফালাকাটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি জানাই আন্তরিক সমবেদনা।’ এর পাশাপাশি অভিষেক এও জানান, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, দার্জিলিং জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ চালাচ্ছেন। দুর্গতদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। সঙ্গে তিনি এও লেখেন, ‘এই কঠিন সময়ে কেউ একা নন। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবককে আহ্বান জানাচ্ছি, তাঁরা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ান, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।’ পরিশেষে অভিষেক এও বলেন, ‘সমবেত সাহস, মানবিকতা এবং মা দুর্গার আশীর্বাদেই আমরা একসঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব।’ প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পঙে। তাতেই বিধ্বস্ত পাহাড়। বহু জায়গায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ। তিস্তার জল উঠে এসেছে জাতীয় সড়কের উপর। এখনও পর্যন্ত মোট ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কাধিক সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। পর্যটনকেন্দ্র যেমন টাইগার হিল, রক গার্ডেন আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। টয়ট্রেন পরিষেবাও স্থগিত করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে একগুচ্ছ ট্রেন।