ধৃত হরিদেবপুর গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত 

IMG-20250919-WA0146

হরিদেবপুর গণধর্ষণকাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত দেবাংশু বিশ্বাস অবশেষে পুলিশের জালে। মধ্যরাতে দেশপ্রিয় পার্কের কাছাকাছি এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ।

প্রাথমিকভাবে দেবাংশু স্থানীয় এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিল। ঘটনার পর থেকেই এই দেবাংশু বেপাত্তা হয়ে যায়। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর আর এক অভিযুক্ত চন্দন মল্লিককে পুলিশ বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করে।কিন্তু  মূল অভিযুক্ত দেবাংশু পলাতক ছিল বলেই জানানো হয় পুলিশের তরফে। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর আর এক অভিযুক্ত চন্দন মল্লিককে গ্রেফতার করা হলেও মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছিল পুলিশ। চন্দনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা গিয়েছিল, হরিদেবপুরের ঘটনার পর তাঁরা বারানসী চলে যায়। কিন্তু সেখানে থাকেনি তাঁরা। ফেরার পথে শান্তিনিকেতনে চলে যায় দেবাংশু। শুক্রবার ভোররাত প্রায় ২টো ২০ নাগাদ টালিগঞ্জ থানার অন্তর্গত ২৪বি দেশপ্রিয় পার্ক রোড  এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাতে রিজেন্ট পার্ক এলাকার এক ফ্ল্যাটে জন্মদিনের পার্টি ছিল। সেই পার্টিতে  চন্দন মল্লিকের সঙ্গে গিয়েছিলেন এক তরুণী। অভিযোগ, পার্টি শেষে ওই তরুণীকে চন্দন এবং তার বন্ধু দেবাংশু বিশ্বাস মত্ত অবস্থায় জোর করে ধর্ষণ করে।ঘটনার পর আতঙ্কে ওই তরুণীকে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে কোনও রকমে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পরিবারের কাছে সব জানান। পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ৭ই সেপ্টেম্বর শনিবার হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে চন্দনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দেয় দেবাংশু। বারানসী পর্যন্ত পালিয়ে যায় বলে খবর পেয়েছিল পুলিশ। তবে সেখানেও বেশিদিন থাকেনি সে। ফেরার পথে কলকাতায় ফিরে আসে এবং অবশেষে দেশপ্রিয় পার্কের কাছে তার হদিস মেলে। মধ্যরাতে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেবাংশু দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে থাকার চেষ্টা করছিল। বারবার জায়গা বদল করায় তাকে ধরা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের বিশেষ টিম তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement