কঠিন শ্বাসনালী সমস্যায় সফল চিকিৎসা মণিপাল হাসপাতাল ব্রডওয়ে-তে

Dr_Debraj_Jash_

কলকাতা: মুর্শিদাবাদের ৪৭ বছরের এক মহিলা সম্প্রতি মণিপাল হাসপাতাল ব্রডওয়ে-তে ভর্তি হন। মণিপাল হাসপাতালস নেটওয়ার্ক ভারতের অন্যতম বড় হেলথকেয়ার গ্রুপ। রোগিনীকে দেখভাল করেন ডা. দেবরাজ জাশ, হেড – পালমোনোলজি। তিনি খুবই গুরুতর শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে একাধিক চিকিৎসার পরেও অবস্থা খারাপ ছিল। তার শ্বাসনালী খুব সরু হয়ে গিয়েছিল, যার জন্য BiPAP, রাইস টিউব আর ক্যাথেটারের মতো লাইফ সাপোর্ট দরকার হচ্ছিল।
চিকিৎসকেরা দেখেন, আগে বসানো স্টেন্টটা জায়গা থেকে সরে গিয়ে শ্বাসনালী আরও আটকে দিচ্ছে। ব্রঙ্কোস্কোপির মতো রুটিন পরীক্ষা কাজ করেনি, কারণ নালীটা খুব সরু। শ্বাস নিতে ট্র্যাকিওস্টমি (শ্বাসনালীতে ছোট সার্জারি) দরকার হয়েছিল।
মণিপাল হাসপাতাল ব্রডওয়ে-তে ডা. দেবরাজ জাশের নেতৃত্বে এক্সপার্ট টিম একটা খুব জটিল প্রক্রিয়া করেন। প্রথমে বেলুন ডাইলেশন করা হয়, কিন্তু স্টেন্ট নালী বন্ধ করে রেখেছিল। পরে বিশেষ জাল-জাতীয় যন্ত্র দিয়ে স্টেন্টটা বের করা হয়। এতে শ্বাসনালী আবার খুলে যায় আর রোগিনী সহজে শ্বাস নিতে পারেন।
ডা. দেবরাজ জাশ বলেন, “এটা খুব কঠিন আর রিস্কি কেস ছিল। শ্বাসনালী অনেক সরু ছিল আর সরে যাওয়া স্টেন্ট সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। রোগিনী এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরছিলেন, কিন্তু ঝুঁকি এত বেশি ছিল যে কোথাও চিকিৎসা হচ্ছিল না। আমাদের হাসপাতালে পরিকল্পনা, টিমওয়ার্ক আর অ্যাডভান্সড টেকনোলজির সাহায্যে আমরা স্টেন্ট বের করে রোগিনীর শ্বাসনালী স্বাভাবিক করতে পেরেছি।”
করুণা সাহা (নাম পরিবর্তিত), যিনি এখন সুস্থ, বলেন, “আমি অনেকদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলাম আর হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরছিলাম। মণিপাল হাসপাতাল ব্রডওয়ে-তে এসে অবশেষে আশার আলো পেলাম। ডা. দেবরাজ জাশ এবং তার টিমকে ধন্যবাদ, যাঁরা আমাকে আবার স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে সাহায্য করেছেন।”
যেখানে রোগিনী পুরোপুরি লাইফ সাপোর্টে নির্ভরশীল ছিলেন, এখন তিনি একা হাঁটাচলা করতে পারছেন – এটা একটা বিরাট পরিবর্তন। এই ঘটনা প্রমাণ করে মণিপাল হাসপাতাল ব্রডওয়ে কতটা দক্ষতার সঙ্গে জটিল শ্বাসনালী সমস্যা সামলাতে পারে আর আধুনিক চিকিৎসা দিতে পারে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement