শিপরকেট যাত্রা– ই-কমার্সের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে এমএসএমই-গুলোর বৃদ্ধি সম্ভব করছে

IMG-20250917-WA0105

কলকাতা: ভারতের অগ্রগণ্য ই-কমার্স এন্যাবলমেন্ট প্ল্যাটফর্ম শিপরকেট, শিপরকেট যাত্রা ২০২৫-এর কলকাতা সংস্করণের আয়োজন করল পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে, এশিয়ার সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক উৎসব, দুর্গাপুজোর বর্ণাঢ্য উদযাপনের সময়ে এমএসএমই ব্যবসায়ীদের বৃদ্ধি তুলে ধরে। উদ্যোগী ও স্থানীয় ব্যবসাগুলো চাহিদার বিপুল বৃদ্ধি, উৎসবের কেনাকাটা এবং নিজেদের ক্রেতা বাড়ানোর সুযোগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই অবস্থায় কলকাতায় শিপরকেট যাত্রা জোর দিচ্ছে তাদের উন্নততর যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি এবং তথ্যভিত্তিক উপলব্ধির উপরে।শিপরকেট যাত্রা হল এই অঞ্চলের বাড়তে থাকা এমএসএমই ও ডি২সি গোষ্ঠীগুলোকে সাহায্য করার কোম্পানির কৌশলগত উদ্যোগ। এতে পার্টনারশিপ ও উদ্ভাবনের নতুন নতুন পথ খুলে গেছে। শিপরকেটের বিশেষজ্ঞরা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, উপলব্ধি ও কৌশল ভাগ করে নিয়েছেন যাতে এমএসএমই-গুলো ক্রেতাদের বিপুল চাহিদা মেটানোর প্রস্তুতি নিতে পারে, বৃদ্ধির সুযোগ গ্রহণ করতে পারে এবং উৎসবের কেনাকাটার চরম মুহূর্তে বিক্রি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।শিপরকেটের প্রধান নেতা ও বিশেষজ্ঞরা বিক্রেতাদের সঙ্গে আদানপ্রদান করেছেন, নিজেদের উপলব্ধি জানিয়েছেন যাতে আসন্ন উৎসবের মরশুমের জন্যে তাঁদের তৈরি হতে সুবিধা হয়। এই সেশনগুলো ডেটাভিত্তিক কৌশলের উপর জোর দিয়েছে, যাতে বিক্রেতারা আসন্ন মরশুমের জন্যে তৈরি থাকতে পারেন। তাঁদের ব্যবসার বৃদ্ধির জন্যে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে, যেগুলোর লক্ষ্য এমএসএমই-গুলোকে ক্রেতাদের বর্ধিত চাহিদা মেটানোর এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে নিজেদের কাজকর্ম আরও বড় করার ক্ষমতা দেওয়া।পশ্চিমবঙ্গ শিপরকেটের পক্ষে এক কৌশলগত বৃদ্ধিসম্পন্ন বাজার হিসাবে উঠে এসেছে। এই রাজ্যের ১৩,০০০-এর বেশি বিক্রেতা সফলভাবে এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়েছেন। একত্রে এই বিক্রেতারা ৯০ লাখের বেশি ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক শিপমেন্ট করেছেন এবং শিপরকেট চেকআউট ও অন্য অনেক ইন্টিগ্রেটেড বিপণন সমাধান ব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন করেছেন। এ হল এই অঞ্চলের ডিজিটাল মাধ্যমের জোরদার ব্যবহার এবং উদ্যোগের মেজাজের স্পষ্ট প্রমাণ। এই জোরালো কর্মদক্ষতার ফলে ২০২৩ ও ২০২৫ সালের মধ্যে বার্ষিক ২৭শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে, যা ভারতের ই-কমার্স ব্যবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থানকে প্রধান অবদানকারী করে তুলেছে।এই ইভেন্টে কথা বলতে গিয়ে অতুল মেহতা, সিইও – ডোমেস্টিক শিপিং, শিপরকেট, বললেন “শিপরকেটে আমরা বরাবর বিশ্বাস করেছি যে ভারতের ব্যবসাবাণিজ্যের সত্যিকারের প্রাণ হল ছোট ব্যবসাগুলো এবং তাদের নিজেকে বদলে নিয়ে উন্নতি করার ক্ষমতা। কলকাতার উদ্যোগীদের দুর্গাপুজোর জন্যে সেজে ওঠা দেখলে খেয়াল হয় যে কীভাবে সাংস্কৃতিক উদযাপনগুলো মসৃণভাবে অর্থনৈতিক সুযোগগুলোকে জ্বালানি জোগায়। নিজের কাজ অনলাইনে বিক্রি করা স্থানীয় কারিগর থেকে শুরু করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জন্যে কাজ করা ডদিসি ব্র্যান্ড, এই প্ল্যাটফর্মে সকলেরই অতুলনীয় উৎসাহ। শিপরকেট যাত্রার মাধ্যমে আমরা এমএসএমই-গুলোকে ডিজিটাল বাণিজ্য গড়ে তোলার সুযোগ দিচ্ছি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত কার্যোপলব্ধির নাগাল দিচ্ছি এবং উৎসবের মরশুমে দ্রুত ব্যবসা বড় করার সুযোগ দিচ্ছি। আমাদের ইন্টিগ্রেটেড পেমেন্ট, লজিস্টিক্স ও বিপণন সমাধান এই ব্যবসাগুলোকে ভারত জোড়া এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে সাহায্য করছে, যা সুস্থায়ী বৃদ্ধিকে শক্তি জোগাচ্ছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের অর্থনীতি একসাথে জোরদার হচ্ছে।এই ইভেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন সারিকা আশধীর, সিইও, অবজেট ডি’ আর্ট। তিনি এমএসএমই -গুলোর জন্য ই-কমার্সের রূপান্তরমূলক শক্তি তুলে ধরেন, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের প্রাণবন্ত অর্থনীতির সাপেক্ষে।শিপরকেট যাত্রা ২০২৫ কলকাতা দ্রুত বদলাতে থাকা ই-কমার্স ইকোসিস্টেমে প্রশিক্ষণ নেওয়া, নেটওয়ার্কিং এবং উদ্ভাবনের এক শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছিল। এতে ডিজিটাল বাণিজ্যের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের অগ্রগণ্য ভূমিকা আরও একবার নিশ্চিত হল।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement