“পুরো ওয়াকফ আইন স্থগিত রাখার কোনও যুক্তি নেই’’

IMG-20250915-WA0156

ওয়াকফ আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই আই বাতিলের আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুরো ওয়াকফ আইন স্থগিত রাখতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। 

ওয়া্কফ আইন সংক্রান্ত মামলায় সোমবার   অন্তর্বর্তী নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, পুরো ওয়াকফ আইন স্থগিত রাখার কোনও যুক্তি নেই। তবে এর মধ্যে কিছু ধারায় খেয়ালখুশি মতো ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছে। সেই ধারাগুলিতে কিছু সুরক্ষা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতিতে তৈরি হয় সংশোধিত ওয়াকফ আইন- ২০২৫। তারপর দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় এই আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আপত্তি তুলে বিক্ষোভ হয়। আদালতে দায়ের হয় মামলা। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অন্তত ৭২টি মামলা হয়েছিল।  

২২ মে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল। দু’পক্ষের যুক্তি শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের ডিভিশন বেঞ্চ।  

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানায়, ‘আমরা দেখেছি পুরো আইনটিকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কিন্তু মূল চ্যালেঞ্জ ছিল ৩(আর), ৩সি, ১৪ ধারা নিয়ে। তবে পুরো আইন স্থগিত রাখার মতো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ তা বিরলের মধ্যে বিরল নয়। কিন্তু যে সব ধারা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রে আমরা স্থগিতাদেশ দিয়েছি।’ সুপ্রিম কোর্ট ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫-এর সেই ধারায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে, যেখানে বলা হয়েছিল, ওয়াকফ তৈরি করতে হলে কোনও ব্যক্তিকে অন্তত ৫ বছর ধরে ইসলাম ধর্ম অনুশীলন করতে হবে। এই ধারা স্থগিত থাকবে ততদিন, যতক্ষণ না রাজ্য সরকারগুলি নির্ধারণ করবে, কোনও ব্যক্তি ইসলাম ধর্মের অনুশীলনকারী কি না এবং তা কী ভাবে নির্ধারণ হবে। প্রধান বিচারপতি গাভাই উল্লেখ করেন, ‘কোনও ব্যবস্থা ছাড়াই এটি প্রণয়ন হলে, এটি স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা প্রয়োগের দিকে পরিচালিত করবে।’ এ ছাড়া, প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের ডিভিশন বেঞ্চ সংশোধিত ওয়াকফ আইনের ৩ (আর) অনুচ্ছেদটির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তাতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘জেলাশাসককে নাগরিকদের ব্যক্তিগত অধিকার বিচার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুমতি দেওয়া যাবে না। কারণ তা আইন, আদালত আর প্রশাসনকে দেওয়া ক্ষমতা লঙ্ঘন করবে। যত দিন না ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত দেয়, তত দিন কোনও তৃতীয় ব্যক্তিকে অন্য কারও বিরুদ্ধে নতুন অধিকার দেওয়া যাবে না।’ 

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement