কলকাতা: তুর্কমেনিস্তানের দল আহাল এফকে এর আগে কখনও ভারতে খেলেনি। দলের ফুটবলাররাও তাই। দেশ হোক বা ক্লাব, এদেশে খেলার অভিজ্ঞতা নেই কারও। মঙ্গলবার একেবারেই অচেনা যুবভারতীতে নামবে তারা। ব্যতিক্রম শুধু একজন। এনোয়ার আনায়েভ। গত মরশুমে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে কলকাতা আসেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড। যুবভারতী স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচে মিনিট পনেরোর জন্য মাঠেও নেমেছিলেন এনোয়ার। ফের কলকাতা আসা প্রসঙ্গে বলছিলেন, “এখানে এসে ভালো লাগছে। এই শহরটা খুব সুন্দর। যদিও আবহাওয়া একটু গরম। স্টেডিয়াম প্রতিপক্ষের সমর্থকে ভরা থাকে।” গতবারের সঙ্গে এই মরশুমের পরিস্থিতির অবশ্য মিল নেই। চ্যালেঞ্জ লিগ নয়, এবার ম্যাচ এসিএল ২-এর। সেবার তিনি ছিলেন আর্কডাগে, প্রতিপক্ষ ছিল ইস্টবেঙ্গল। এবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলবেন আহালের জার্সিতে। তবে ম্যাচের ফলাফলটা গতবারের মতোই রাখতে চাইছেন এনোয়ার। আর্কাডাগের জার্সিতে চ্যালেঞ্জ লিগ জেতার প্রসঙ্গ টেনে বলছিলেন, “ট্রফি হাতে নেওয়ার মুহূর্তটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। একটা অপার্থিব অনুভূতি হয় যেন। চ্যালেঞ্জ লিগ জয়ের পর সেই অনুভূতি হয়েছে। এবার এসিএল ২-এ তার স্বাদ পেতে চাই। সেজন্য শুরুটা ভালো করতে হবে। মোহনবাগানকে হারিয়ে কলকাতা থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারলে লক্ষ্যপূরণের পথে একধাপ এগিয়ে যাব। এবার আমি নতুন দলের সঙ্গে এসেছি। কিন্তু লক্ষ্যটা একই আছে।” শুক্রবার রাতের দিকে শহরে এসেছে আহাল। পরের দিন বিকালে রাজারহাটে ফেডারেশনের মাঠে তারা নেমে পড়ে অনুশীলনে। দীর্ঘ বিমানযাত্রার ধকল সামলে পুরোদমেই প্র্যাকটিস করেন এনোয়াররা। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁরা অনুশীলন করলেন যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে। টিম সূত্রে খবর, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দিকে লক্ষ্য রেখে অনুশীলনের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। হোসে মোলিনার মোহনবাগান যে উইং-নির্ভর ফুটবল খেলে, জানে আহাল। তাই অনেকটা সময় সেই ছকে অনুশীলন করতে দেখা গেল তাদের। দলের পরিকল্পনা তৈরিতে কতটা সাহায্য করেছেন এনোয়ার? তাঁর কথায়, “তেমন কিছু না। শহরের পরিবেশ কেমন, অনুশীলনের পরিকাঠামোর মান কী, এসব নিয়েই খোঁজ নিয়েছে।” সোমবার সন্ধ্যার পর নিয়ম মেনে যুবভারতীর মূল মাঠে অনুশীলন করবে আহাল।