কলকাতা: বিদেশি কোচরা যা করতে পারেননি এতদিন, খালিদ জামিল প্রথম সুযোগেই তাই করে দেখিয়েছেন। জিততে ভুলে যাওয়া, হারের ভুলভুলাইয়ায় পথ হারানো এক দলকে নিয়ে খালিদ জামিল বিদেশের মাটিতে তৃতীয় স্থান দখল করেছেন।আটটি দেশের মধ্যে ভারত তৃতীয়। এ-ও তো গর্বেরই বিষয়। ইরান, ওমান, তাজিকিস্তানের মতো দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়লেন ছাংতে, গুরপ্রীতরা। অবশেষে ভারতীয় ফুটবলের ‘চক দে’ বিদশের মাঠে। ভারতের মোরিনহো খালিদ জামিলের চোখ এখন এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতাপর্বে। ভারতের পরবর্তী প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বেঙ্গালুরুতে হবে প্রস্তুতি শিবির। মোহনবাগান ও এফসি গোয়ার খেলোয়াড়রা এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-২ খেলে জাতীয় দলে যোগ দেবেন। কাফা নেশনস কাপে সুনীল ছেত্রী দলে ছিলেন না। এএফসি এশিয়া কাপের জন্য় তিনি দলে ফিরলেন। কাফা নেশনস কাপে গোল করার লোক ছিল না খালিদের দলে। সুনীল ফেরায় খালিদের দুশ্চিন্তা দূর হল কিছুটা।মানোলো মার্কেজ দায়িত্ব ছাড়ার পর কাফা নেশনস কাপ ছিল খালিদ জামিলের প্রথম টুর্নামেন্ট। সেখানে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় কোচরাও পারেন। এবার আরও এগিয়ে যেতে হবে তাঁকে।এই টুর্নামেন্টের শুরুতে কে ভাবতে পেরেছিলেন, শক্তিশালী দলগুলোর বিরুদ্ধে লড়ে তৃতীয় স্থান দখল করবে ভারত! খেলোয়াড় ছাড়া নিয়ে দড়ি টানাটানি ছিল। ছিল খালিদকে নিয়ে প্রশ্নও। কেউ কি ভেবেছিলেন তারকাহীন একটা দলের ভিতরে খালিদ তাঁর মতোই জেদ, লড়াকু মানসিকতা ঢুকিয়ে দিতে পারবেন? ফিফার ক্রম তালিকায় ১৩৩ নম্বরে থাকা এক দেশ হারিয়ে দিল ৭৯ নম্বরের এক দেশকে। এমন কথাও কি কেউ চিন্তা করতে পেরেছিলেন? খালিদ অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন প্রথম টুর্নামেন্টেই।গোলকিপার-অমরিন্দর সিং, গুরমীত সিং, গুরপ্রীত সিং ডিফেন্ডার-আনোয়ার আলি, বিকাশ ইয়ামনাম, চিংলেনসানা সিং, রালতে, উভাইস, পরমবীর, রাহুল ভেকে, রিকি মিতেই, রোশন সিং।মিডফিল্ডার-আশিক, দানিশ ফারুক, জিকসন, জিথিন, ম্যাকার্টনলুইস, মহেশ সিং, মহম্মদ আইমেন, নিখিল প্রভু, সুরেশ সিং, ভিবিন।ফরোয়ার্ড-ইরফান, ছাংতে, মনবীর সিং, মহম্মদ সানান, মহম্মদ সুহেল, পার্থিব গগৈ, সুনীল ছেত্রী, বিক্রম প্রতাপ সিং।