নবম-দশমের মতোই নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হল এসএসসির একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। রবিবার একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় পরীক্ষা। ১২ হাজার ৫১৪টি শূন্যপদের জন্য পরীক্ষার্থী ছিলেন ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫০০ জন। প্রশ্নপত্র ভালো হয়েছে বলেই জানান পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসা পরীক্ষার্থীরা। এদিনের পরীক্ষা নিয়ে কোথাও কোনও গোলযোগের খবর নেই। রবিবারের পরীক্ষার জন্য নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছিল প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্র। আঁটসাঁট নিরাপত্তার মধ্যেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। তবে সকাল ১০টায় খুলে দেওয়া হয় পরীক্ষাকেন্দ্রের দরজা। অনেক আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে গিয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। একে একে পরীক্ষার্থীদের ঢোকানো হয় কেন্দ্রের মধ্যে। তবে তার আগে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর দেহ তল্লাশি করা হয়। শুধুমাত্র স্বচ্ছ জলের বোতল এবং অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়।চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গেই এ দিন পরীক্ষায় বসেন ফ্রেশ ক্যান্ডিডেটরাও। এই প্রথমবার পরীক্ষায় বসলেন তাঁরা। তাঁদের কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, যাঁরা চাকরি হারিয়ে দ্বিতীয় বার পরীক্ষায় বসলেন, তাঁরা অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর করে পাবেন। ফলে প্রতিযোগিতা বেশ কঠিন হবে। রবিবার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেন ২,৪৬,৫০০ পরীক্ষার্থী। ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। টুকলি বা প্রশ্নফাঁসের মতো অভিযোগ যাতে উঠতে না-পারে, তাই বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল কমিশন। পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের উপর কড়া নজর রাখেন পরিদর্শকেরা। ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, মোবাইল বা যে কোনও প্রকার ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। নবম-দশমের মতো একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ পরীক্ষাতেও ভিন্রাজ্য থেকে অনেকে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। সে দিনের তুলনায় একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী এবং কেন্দ্রের সংখ্যা কম হলেও নিরাপত্তায় কোনও রকম ফাঁক রাখতে চায়নি স্কুল সার্ভিস কমিশন। এসএসসির কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারিও চালানো হয়। কারও কোনও সমস্যা হলে হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার সুবিধাও রেখেছিল কমিশন। ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে বিস্তর দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তাতে স্বাভাবিক ভাবে মুখ পুড়েছিল কমিশন এবং রাজ্য সরকারের। সুপ্রিম কোর্টেও ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। তাতে চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। গত ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশমে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। আর রবিবার পরীক্ষা নেওয়া হয় একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগের জন্য।