বানারহাট: শারদোৎসবের আগে যখন চারদিকে উৎসবের আমেজ, তখন ডুয়ার্সের চা-বাগান মহল্লায় নেমে এসেছে অন্ধকার। একসঙ্গে তিনটি চা বাগান রেড ব্যাংক, চামুর্চি ও সুরেন্দ্রনগর হঠাৎই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিনা নোটিশে রাতারাতি বাগান কর্তৃপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। রেড ব্যাংক চা বাগানে কর্মরত প্রায় ১১০০ শ্রমিকের মতোই চামুর্চি ও সুরেন্দ্রনগরের শ্রমিকরাও মজুরি ও বোনাস না পেয়ে দিশেহারা। তাঁদের বক্তব্য, “গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময়ের মজুরি বাকি। উৎসবের সময়ে আমরা পরিবারকে কীভাবে চালাব?” শুক্রবার সকালে চা বাগানের শ্রমিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে বানারহাট–নাগরাকাটা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। অবরোধের জেরে সৃষ্টি হয় বিশাল যানজটের। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান বানারহাট বিডিও নিরঞ্জন বর্মন ও ধূপগুড়ি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক গেইলসেন লেপচা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা হয়, আশ্বাস দেওয়া হয় শ্রমিকদের পাশে থাকবার। তবে শ্রমিকরা জানিয়েছেন, শুধু আশ্বাসে হবে না, অবিলম্বে প্রাপ্য মজুরি ও বোনাস দিতে হবে। ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানগুলির আর্থিক টানাপোড়েন নতুন নয়। উত্তরের এই তিনটি চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় কয়েক হাজার পরিবারের ঘরে এখন শুধুই উৎকণ্ঠা আর দুশ্চিন্তা। আনন্দের উৎসবের সময় তাঁদের জীবনে নেমে এসেছে গভীর অন্ধকার।