মালিগাঁও: ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ৯০০০ কোটি টাকারও অধিক মূল্যের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন/উৎসর্গ/ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার জন্য আইজল, মিজোরাম সফর করবেন। এর মধ্যে ভৈরবী-সাইরাং নিউ রেল লাইন, পশ্চিম দিকে ৪৫ কিমি দৈর্ঘের আইজল বাইপাস রোড, থেনজল-শিয়ালসুক রোড, খানকাউন-রঙ্গুরা রোড, মুয়ালখাং-এ আইওসিএল-এর একটি ৩০ টিএমটিপিএ এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট এবং অন্যান্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্প থেকে লুংলেই, সিয়াহা, লংটলাই, লেংপুই বিমানবন্দর এবং সাইরাং রেলওয়ে স্টেশনের পাশাপাশি অন্যান্য স্থানের সাথে যোগাযোগ উন্নত হবে। এর ফলে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলি থেকে আইজল পর্যন্ত ভ্রমণের সময় হ্রাস হবে এবং এই এলাকার জনসাধারণ অনেক উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী লংটলাই-সিয়াহা সড়কে ছিমতুইপুই নদী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন, যা সব ধরণের আবহাওয়ায় সংযোগ প্রদান করবে এবং ভ্রমণ সময় কম করবে। এই সেতুটি কালাদান মাল্টিমডাল ট্রানজিট কাঠামোর অধীনে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যকেও উৎসাহিত করবে। তিনি ক্রীড়া উন্নয়নকে উৎসাহিত করার জন্য খেলো ইন্ডিয়া মাল্টিপারপাস ইন্ডোর হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত ভৈরবী-সাইরাং রেল লাইন জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন। এই প্রকল্পের সমাপ্তি ভারত সরকারের “অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি”-এর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবার শুভ উদ্বোধন করবেন। এই ট্রেনগুলি হলো আইজল (সাইরাং) এবং দিল্লি (আনন্দ বিহার টার্মিনাল)-এর মধ্যে রাজধানী এক্সপ্রেস, একটি এক্সপ্রেস ট্রেন যা আইজল (সাইরাং)-কে গুয়াহাটির সাথে সংযুক্ত করবে এবং আরেকটি এক্সপ্রেস ট্রেন যা আইজল (সাইরাং)-কে কলকাতার সাথে সংযুক্ত করবে। ৫১.৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ব্রডগেজ ভৈরবী-সাইরাং রেল লাইনটি প্রায় ৮,০৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাপেক্ষে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রত্যাহ্বানযুক্ত ভূখণ্ডে নির্মিত, এই লাইনে ৪৫টি টানেল, ৫৫টি মেজর ব্রিজ, ৮৮টি মাইনর ব্রিজ এবং ১০টি আরওবি/আরইউবি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নবনির্মিত লাইনের প্রায় ৫৪% ভাগ শুধু টানেল এবং সেতুর মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। এর মধ্যে, ১৪৪ নং. ব্রিজটি একটি অসাধারণ ইঞ্জিনিয়ারিং কীর্তি। স্তম্ভটির উচ্চতা ১১৪ মিটার এবং এটি কুতুব মিনার থেকে ৪২ মিটার উচুঁ। প্রকল্পটিতে রুটের পাশাপাশি আইজল এবং কোলাসিব জেলার সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করার জন্য হরতকি, কাউনপুই, মুয়ালখাং এবং সাইরাং-এ চারটি নতুন স্টেশন যুক্ত করা হয়েছে। এই নতুন লাইনটি অসম-মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত ভৈরবী থেকে আইজলের নিকট সাইরাং পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সম্প্রসারিত করেছে, যা প্রথমবারের মতো রাজ্যের রাজধানীকে সরাসরি জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করেছে। এই কৃতিত্বের সাথে, গুয়াহাটি, আগরতলা এবং ইটানগরের পরে, আইজল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চতুর্থ রাজধানী শহর হয়ে উঠেছে যা রেল লাইন দ্বারা সংযুক্ত হয়েছে। এই বিকাশের ফলে যাত্রী ও পণ্য উভয়ের দ্রুত, নিরাপদ এবং আরও নির্ভরযোগ্য চলাচল নিশ্চিত করে এই অঞ্চলে ভ্রমণ এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় রূপান্তর ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।ভৈরবী-সাইরাং প্রকল্পটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য উন্নত সংযোগ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিকাশের ভারত সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে একটি রূপান্তরমূলক পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে। এর ফলে লজিস্টিক খরচ কম হবে, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য বাজার অ্যাক্সেস উন্নত করবে এবং মেডিকেল ফিল্ড, শিক্ষা, বাণিজ্য, পর্যটন ও উদ্যোগে নতুন সুযোগ তৈরি হবে, যার ফলে ক্ষিপ্রভাবে অর্থনৈতিক বিকাশ হবে। নতুন লাইনের উদ্বোধন এবং দিল্লি, গুয়াহাটি এবং কলকাতার জন্য সরাসরি ট্রেন চালু, মিজোরামকে দেশের অন্যান্য অংশের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে একীকৃত করার দিকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যার ফলে আঞ্চলিক সমৃদ্ধির দিকে দ্রুতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।