কলকাতা: কলকাতার তনয়া বসু রায় চৌধুরী শুরু করেছিলেন বাঙ্গালারি মিস্টি, একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে,যাতে সারা ভারতকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায় বাংলার খাঁটি, ঐতিহ্যবাহী আর স্বাস্থ্যকর মিষ্টির সঙ্গে। শুধু কাজু কাটলি বা গুলাব জামুন নয়, বাংলার মিষ্টির স্বাদ যেন সবাই পায়, এই স্বপ্ন থেকেই নামকরণ করা হয় বাঙ্গালারি মিস্টি। বাঙ্গালা মানে বাংলা, আর মানে বাংলার উপহার, আর মিস্টি মানে মিষ্টি। এই উৎসবের মরশুমে আমাজন ডট ইন -এর জন্যই দেশের যেকোনো প্রান্তে—কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী—ক্রেতারা পাচ্ছেন বাংলার আসল মিষ্টি নিজেদের বাড়ির দোরগোড়ায়।
বাংলার মিষ্টি এখন দেশের ঘরে ঘরে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাঙ্গালারি মিস্টি যুক্ত হয়েছিল আমাজনের Local Shops প্রোগ্রামে। এর ফলে তারা কলকাতার দোকান থেকে সারা ভারতের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যেতে শুরু করে, একেবারে দুর্গাপুজো ও নবরাত্রির সময়। এতে শুধু বিক্রি বেড়েছে তাই নয়, ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা আর নামও দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।আমাজনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বাঙ্গালারি মিস্টি পৌঁছে গেছে বড় শহর থেকে শুরু করে ছোট শহর ও মফস্বলেও। অনেকেই প্রথমবার বাংলার আসল মিষ্টির স্বাদ পেয়েছেন। বিজ্ঞাপন আর নানা অফারের সুবিধা নিয়ে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বাঙ্গালারি মিস্টি। প্রথম উৎসবের মরশুমেই সাধারণ সময়ের তুলনায় বিক্রি তিনগুণ বেড়েছে। শুধু রসগোল্লা আর সন্দেশ নয়, নামকিন, চানাচুর আর স্পাইসি আরবি চিপসও ক্রেতাদের কাছে সমান জনপ্রিয় হয়েছে। আমাজন গ্রেট ইন্ডিয়ান ফেস্টিভ্যাল বড় সুযোগ, বড়ো সাফল্য নবরাত্রি, দুর্গাপুজো আর দীপাবলি বাঙ্গালারি মিস্টি -র কাছে শুধু উৎসব নয়, এগুলো গোটা দেশে বাংলার মিষ্টির স্বাদ পৌঁছে দেওয়ার বড় সুযোগ। আমাজন গ্রেট ইন্ডিয়ান ফেস্টিভ্যাল -এ অংশ নিয়ে বাঙ্গালারি মিস্টি কোটি কোটি নতুন ক্রেতার কাছে পৌঁছে যায়। নানা ছাড়, কুপন আর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি প্রচুর বিক্রি করে এবং ক্রেতাদের মনে জায়গা করে নেয়। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধন
আমাজনের সহযোগিতায় বাঙ্গালারি মিস্টি এখন আরও নতুন স্বাদ বাজারে আনতে চলেছে এবং বাংলার মিষ্টির ঐতিহ্য আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতে চাইছে।
কলকাতার এক দোকান থেকে শুরু করে আজ সারা ভারতে পরিচিত বাঙ্গালারি মিস্টি দেখিয়ে দিয়েছে, পুরনো ঐতিহ্যকেও আধুনিক ডিজিটাল দুনিয়ায় নতুন করে জনপ্রিয় করা যায়।