নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একে একে জামিন পেলেন অনেকেই। গ্রুপ সি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ এই তিন মামলায় অভিযুক্তদের এদিন হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। ৭৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে এদিন প্রায় ৭০ জন হাজির ছিলেন আদালতে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ অভিযুক্তেরই জামিন হয়েছে এদিন। তাঁরা প্রত্যেকেই কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এর করা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। অসুস্থতার জন্য প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাজিরা দিতে না পারলেও এদিন দুটি মামলায় জামিন পেয়ে যান।
ফলে পুজোর আগে নিঃসন্দেহে স্বস্তিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের দায়ের করা নবম-দশম শ্রেণির মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন পেলেন তিনি। যদিও এই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে চার্জশিটে নাম থাকায় বুধবার আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। এই মামলায় জামিনের আবেদন জানালে তা মঞ্জুর করে আলিপুর বিশেষ আদালত। নিয়োগ মামলায় ট্রায়াল কোর্টে এই প্রথম জামিন পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। সাত হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে জামিন মিললেও এখনই জেলমুক্তি হচ্ছে না প্রাক্তন মন্ত্রীর।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট থেকে সিবিআইয়ের গ্রুপ সি মামলায় পার্থর জামিন হয়েছে। এই মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলেও এই মামলায় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও অশোকা সাহার জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও বুধবার জামিন পেয়েছেন ইমাম মোমিন, পঙ্কজ বনসল, নীলাদ্রি দাস, আব্দুল খালেক, পর্ণা বসু, সমরজিৎ আচার্য, দিলীপ ভৌমিক, রোহিত ঝা, সুবীর ঘোষ, জুঁই দাস, সৌমিত্র ঘোষ।
এদিকে সিবিআইয়ের তরফে জামিনের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, “প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে এদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে এর প্রভাব পড়েছে।” যদিও দীর্ঘ শুনানি শেষে নবম দশম মামলাতেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করল নিম্ন আদালত।