কোচবিহার: গত ৯ আগস্ট ডাওয়াগুড়ি বাজারে বাজার করতে এসে যুব তৃণমূল নেতা অমর রায়ের খুনের ঘটনায় এখনো মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি বলে অভিযোগ তুলে ঘটনার কিনারার আর্জি নিয়ে প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চাইছেন তার বাবা। সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন অমর রায়ের বাবা মহিম রায়।এদিন ছেলের খুনের ঘটনার পেছনে থাকা মূল অভিযুক্ত কেন ধরা পড়ছে না সেই বিষয়ে নিজের ক্ষোভের কথা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে মূল অভিযুক্ত কেন অধরা রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ি থানার ডোডেয়াহাটে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয় ডাওয়াগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কুন্তলা রায়ের ছেলে তথা তৃণমূল যুব নেতা অমর রায়কে।পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।যদিও মূল অপরাধী এখনো অধরা বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তার বাবা।এদিন তার বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই ব্যাপারে ক্ষোভের কথা জানান মহিম।খুনের ঘটনায় অরুণাচল প্রদেশ থেকে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। এছাড়াও ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলিপুরদুয়ার থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর এই ঘটনা এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলো বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া সেদিনের ঘটনায় যে মোটরবাইক করে দুষ্কৃতীরা এসেছিল সেটিকেও পুলিশ উদ্ধার করেছে।যুব তৃণমূল নেতা অমর রায় ডোডেয়ারহাটে শুটআউটের ঘটনায় নিহত হন। সেই ঘটনায় গত ১৭ অগাস্ট অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে বিনয় রায় নামে এক শার্প শুটারকে গ্রেপ্তার করেছিল পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। এরপর ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশের একটি বিশেষ দল অরুণাচল প্রদেশে গিয়ে পৌঁছায়। অরুণাচল প্রদেশের পাপুমপারে জেলা থেকে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মিঠুন ও বাঁধন রায়কে গ্রেফতার করা হয় আলিপুরদুয়ার থেকে। এছাড়াও এই ঘটনা একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোটর বাইক।জানা গিয়েছে, ধৃত দুই তরুণের মধ্যে কিশোর বর্মন এর আগেও একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। চলতি বছর ৯ ফেব্রুয়ারি পুন্ডিবাড়ি থানার দক্ষিণ মরা নদীরকুঠি এলাকায় একটি রাস্তার কাজের তোলাবাজি করতে গিয়ে গুলি চালানোর ঘটনায় ওই তরুণ জড়িত ছিল। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আরো কারা জড়িত সেই ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল। এছাড়াও এই ঘটনায় যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেটাও মরা নদীর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।