সপ্তর্ষি সিংহ
৯ আগস্ট ২০২৪, আরজিকর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনে অভিযুক্ত হয়ে জেলে রয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। এক বছর পার হয়ে গেলেও সেই তদন্তের বিচার সম্পূর্ণ হয়নি। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ওয়েস্ট বেঙ্গল এবং অভয়া মঞ্চের পক্ষ থেকে ১১ মাস আগে আন্দোলন সংগঠিত করেছিল। আদালতের অনুমতিতে কলকাতার রাজপথ জুড়ে বিচারের দাবিতে স্লোগান তুলেছিলেন সংগঠনের সদস্য ও চিকিৎসকরা। ১১ মাস পর এই বিষয়ে সিনিয়র চিকিৎসকদের পুলিশি নোটিশ পাঠিয়ে হাজিরার জন্য তলব করা হয়েছে। এই বিষয়ে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ওয়েস্ট বেঙ্গলের পক্ষ থেকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে চিকিৎসক উৎপল বন্দোপাধ্যায়, ডাঃ পুণ্যব্রত গুণ, ডাঃ, কৌশিক চাকী, ডাঃ শিবশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় তথ্য তুলে ধরেন।
এদিন শিবশঙ্কর বাবু জানান, ইতিমধ্যেই পুলিশি হাজিরা দিয়েছেন চিকিৎসক তপোব্রত কুন্ডু ও তমোনাশ চৌধুরী। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী ও মানস গুমটাকে হাজিরা দেওয়ার জন্য তলব করা হয়েছে। যেভাবে প্রবীণ চিকিৎসকদের পুলিশ হেনস্থা করছে তার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে চিকিৎসক উৎপল বন্দোপাধ্যায় যোগ করেন, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলনের অধিকার আছে। তাই অভয়ার ন্যায় রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছি। কিন্তু ভিডিও দেখিয়ে ভয় দেখানো অমূলক। আমরা রাস্তায় থাকব। বাংলার মেয়েদের মুখ্যমন্ত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন। চিকিৎসকরা পুলিশি হাজিরা দিতে গিয়ে সমাজের পরিষেবা দিতে পারছেন না বলে জানান।
একইসঙ্গে ডাঃ কৌশিক চাকী অভিযোগ করেন, মেডিকেল কাউন্সিলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেসব চিকিৎসক সরব হয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে সুদীপ্ত রায়ের ঘনিষ্টরা থ্রেট কালচার চালাচ্ছে। অর্থাৎ চিকিৎসকদের উপর পুলিশি হেনস্থা বন্ধ, মেডিকেল কাউন্সিলে স্বচ্ছ নিয়োগ ও থ্রেট কালচার বন্ধ করা এবং প্রতিবাদীদের উপর পুলিশি হেনস্থার বিরুদ্ধে দাবি জানালেন।