ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি 

IMG-20250829-WA0097

আশঙ্কাই সত্যি হল। ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার  শুনানি। সোমবার দুপুর দু’টোর পর সুপ্রিম কোর্টে  বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এদিকে সোমবার রাজ্য সরকারের অন্যতম আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করার জন‍্য বেশ কিছুটা সময় চেয়ে নেন। সেই কারণেই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হল। আগামী সোমবার বেলা ২ টোয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেও কপিল সিব্বল আদালতে মামলাটি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত সেই আর্জি মঞ্জুর করেছিল। 

আদালত সূত্রের খবর, মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে ৮ সেপ্টেম্বর। সেক্ষেত্রে দুর্গাপুজোর আগে ডিএ মামলার নিষ্পত্তির আর কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না সরকারি কর্মচারিরা। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, রাজ্যকে আগেই ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এ জন্য ছ’সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে পারেনি। বরং আদালতের কাছ থেকে আরও ছ’মাস সময় চাওয়া হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে গত ৪ অগস্ট থেকে ৭ অগাস্ট প্রতি দিনই শুনানি চলেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চে।

তবে এর আগে ২৬ অগাস্ট এবং ১২ অগাস্ট মামলার শুনানি থাকলেও তা হয়নি। এদিকে বারবার মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ সরকারি কর্মচারিরা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য সভাপতি  দেবাশিস শীল বলেন, ‘এই নিয়ে ২৫ বার। ফের ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। আমাদের মনে হচ্ছে, আদালত চাইছে না দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। তাই বোধহয় বারবার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের অধিকার। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু তাতেও বিশেষ সুবিধা হয়নি। উল্টে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছিল, অন্তত ২৫ শতাংশ বকেয়া মেটাতেই হবে রাজ্যকে। সেই সময়সীমাও ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে কর্মীদের ক্ষোভ, উৎকণ্ঠা দুই-ই বাড়ছে।

রাজ্য সরকারের দাবি, বকেয়া ডিএর অঙ্ক নির্ধারণে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কত টাকা আদতে প্রাপ্য, তার হিসেব কষতে আরও সময় দরকার। আদালতে সেই যুক্তি পেশ করেছে নবান্ন। কিন্তু শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে প্রশ্ন করা হয়, রাজ্যের বাইরে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীরা যদি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পান, তবে বাংলার কর্মীরা কেন বঞ্চিত তা নিয়ে।

এই সওয়াল-জবাবের মধ্যেই সোমবার ফের শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মচারীরা।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement