হাইকোর্টের দ্বারস্থ দাগি প্রার্থীদের একাংশ

IMG-20250717-WA0123

স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে বিপুল সংখ্যায় পিটিশন জমা পড়ায় বিরক্ত দুই বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ। সোমবার তাঁরা এই বিষয়ে বিরক্তির সঙ্গেই জানতে চান এত মামলা কেন হচ্ছে তা নিয়ে। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতিরা এও বলেন, ‘একই বিষয়ে এত মামলা কেন? আমরা সব দিকই বিবেচনা করেছি। প্রতিদিন একই বিষয়ে মামলা আসছে।’ 

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো গত শনিবার ‘দাগি’ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে মোট  ১৮০৬ জনের নাম রয়েছে। আদালত আগেই জানিয়েছিল, এরা এবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সেটা নিশ্চিত করতে এদিন বিচারপতিরা আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, ‘দাগি অযোগ্যদের বাতিল করা হয়েছে তো?’ উত্তরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী জানান, ‘বাতিল হয়েছে।’ 

এদিকে সোমবার নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে টেন্টেড তালিকায় নাম থাকা ৩৫০ জন প্রার্থী। এবারের পরীক্ষায় তাঁদের বসতে দেওয়ার আবেদন করেছেন। মামলাকারীদের তরফে কোর্টে জানানো হয়, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে তাদের টেন্টেড হিসেবে চিহ্নিত করেনি। তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার কথা। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশন টেন্টেড ও আনটেন্টেডদের আলাদা করেনি। এরপরই এই মামলাটি দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর এর শুনানি হওয়ার কথা। 

আগামী ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসির পরীক্ষার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে এই দাগি অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসতে পারবে না বলেই কোর্টের তরফে জানানো হয়েছিল। তার মধ্যেই অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এই অবস্থায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, যোগ্যদের চাকরি ফেরানোর চেষ্টায় সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের যাওয়া উচিত। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর এই মর্মেই বিধানসভায় প্রস্তাব দেবেন বলে জানান তিনি। 

বিরোধী নেতার বক্তব্য, অযোগ্যদের নাম প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। এখন রাজ্য সরকার যেন যোগ্যদের তালিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘এতে একটি নজির তৈরি হবে যে, যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি রক্ষার স্বার্থে বিধানসভা থেকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে গ্রহণ করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘৪ সেপ্টেম্বর বিধানসভার অধিবেশনের শেষ দিন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ১,৮০৬ জন অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হয়েছে। কিন্তু বাকিরা তো যোগ্য। তাঁদের চাকরি বহাল করা হোক। আমি এই বিষয়টি হাউসে তুলব। মনোজ পন্থকে লিখব। স্পিকারকেও সর্বদলীয় প্রস্তাব দেওয়া হবে। শঙ্কর ঘোষ স্পিকারকে প্রস্তাবটি দেবেন। ৪ তারিখ বিকেলে সবাই আসবেন।’

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement