স্কুল সার্ভিস কমিশন অযোগ্য প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর দিয়েই তালিকা প্রকাশ করার ঠিক আগে শনিবার সকালে রাজ্যকে ঝাঁঝালো আক্রমণ করতে দেখা গেল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে। একইসঙ্গে এদিন তাঁকে মুখ খুলতে দেখা গেল আরজি কর, এসআইআর, মহুয়া মিত্র সহ আরও একাধিক ইস্যুতে। এসএসসি সম্পর্কে রাজ্যের প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন স্পষ্ট জানান, একজন অযোগ্য যদি পরীক্ষায় বসে রাজ্যকে ছেড়ে কথা বলবে না আদালত। এখানেই শেষ নয়, আর এক পা এগিয়ে তিনি বলেন, ‘এই যে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কৌশল চলছে এতে যোগ্যরা মার খাচ্ছেন। একজন অযোগ্যও যদি ঢুকে পড়ে এবং পরীক্ষায় বসে তাহলে পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে। যোগ্যরা এতদিন ধরে চর্চার বাইরে থেকেও ফের প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় বসছেন। আদালতে থাপ্পড় খাওয়া রাজ্য সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কোনও নিয়ম নীতি না মেনে পয়সা তোলার জন্য অনৈতিক কাজ করে। এরপর এই সবের বিরুদ্ধে মানুষ আদালতে যায়। আদালত কানমলা দেয়। কোনও একটা গণতান্ত্রিক দেশে এরকম একটা সরকার কীভাবে চলতে পারে দেখে আশ্চর্য লাগে।আরজি করের দুর্নীতি কাণ্ড এদিন দিলীপ বলেন, ‘আর.জি করের কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি সেইসময় সামনে এসেছিল। সেগুলো প্রমাণ করা যায়নি। দুর্নীতির সঙ্গে ওই দুর্ঘটনা জড়িত।’ আর এখানেই দিলীপ ঘোষের ধারনা, দুর্নীতির তদন্ত সঠিক পথে এগোলে জুনিয়র মহিলা চিকিত্সককে ধর্ষণ ও হত্যার তদন্ত সঠিক পথে এগোবে।এদিকে এসআইআর নিয়ে শুরু থেকেই সুর চড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন ‘পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হবে না।’ এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অরূপ বলুন ,স্বরূপ বলুন, মুখার্জি বলুন, ব্যানার্জি বলুন, যখন এসআইআর হওয়ার তখন হবেই। কেউ আটকাতে পারবে না। কেন্দ্র সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে সেটা করবেই। পশ্চিমবঙ্গ দেশের বাইরে নয়। পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশ নয়। সংবিধানের অধীনে আছে পশ্চিমবঙ্গ।এর পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেসের অফিসে তাণ্ডব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘গোলমাল চলছে। ভোট আসছে তো। কোনও একটা পার্টিকে দাগিয়ে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। কংগ্রেস কে হাইলাইট করার কোনও প্রয়োজন বিজেপির নেই। আর করেই বা কী লাভ কারণ, যতই স্যালাইন দেওয়া হোক কংগ্রেস আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না।’