জাপানে গিয়ে বিনিয়োগের আহ্বান মোদীর

IMG-20250829-WA0093

অপারেশন সিন্দুরের পর চিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে জাপান পৌঁছে গেলেন তিনি। দুদিনের সফরে শুক্রবারই জাপানে পৌঁছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আজ শনিবারও জাপানে থাকবেন তিনি। দুদিনের জাপান সফরে ঠাসা কর্মসূচি হয়েছে মোদীর। তারপর জাপান সফর সেরে তিনি রওনা দেবেন চিনে। সেখানে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দেবেন। তবে চিন সফরের আগে তাঁর জাপান সফরও তাৎপর্যপূর্ণ।জাপানে পৌঁছেই টোকিওতে ভারত-জাপান যৌথ আর্থিক ফোরামে ভাষণ দেন নরেন্দ্র মোদী।তিনি বলেন, ”বিশ্ব কেবল ভারতের দিকে তাকিয়েই নেই। বিশ্ব ভারতের থেকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে। ভারতের উন্নয়নের যাত্রায় জাপান বরাবরই এক গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী’। ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে মোদী বলেন, ”ভারতে মূলধন কেবল বাড়েই না, তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।” তিনি বলেন, ”আজ ভারতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। নীতিগত স্বচ্ছতা এবং সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত এখন বিশ্বের দ্রুততম বর্ধিষ্ণু প্রধান অর্থনীতি। এবং খুব শীঘ্রই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে।” তাঁর বার্তা, ”প্রতিরক্ষা ও মহাকাশের পর আমরা এবার পারমাণবিক ক্ষেত্রে বা বেসরকারি বিনিয়োগের রাস্তাও খুলেছি।” প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ভারত এবং জাপানের মধ্যে একাধিক মউ এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল যৌথ ভাবে বুলেট ট্রেন তৈরি। জানা গিয়েছে, ই১০ শিনকানসেন গোত্রের উন্নত মানের বুলেট ট্রেন যৌথ ভাবে তৈরির বিষয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা সেরে ফেলতে পারে নয়াদিল্লি এবং টোকিয়ো। ভারতে জাপানি বিনিয়োগ নিয়েও সে দেশের শিল্পমহলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন মোদী। স্বাভাবিক ভাবে অর্থনৈতিক আলোচনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আসতে পারে। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ইতিমধ্যেই ভারতের অধিকাংশ পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। এই অবস্থায় ভারতীয় পণ্য বিক্রির নয়া বাজার খুঁজতে হচ্ছে দিল্লিকে, যেখানে বিনা শুল্কে বা কম শুল্ক দিয়ে সেগুলি বিক্রি করা যায়। জাপানে তেমন সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে নয়াদিল্লি।ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত সিবি জর্জ সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা হবে। কথা হবে চতুর্দেশীয় অক্ষ ‘কোয়াড’ নিয়েও। প্রসঙ্গত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় বেজিঙের ‘প্রভাব’ যথাসম্ভব কম রাখতে একযোগে কাজ করে ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অষ্ট্রেলিয়ার চতুর্দেশীয় অক্ষ ‘কোয়াড’। কিন্তু ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন এই বৃহত্তর কৌশলগত অংশীদারিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে ‘কোয়াড’-এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিতে চাইছে ভারত।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement