কেন্দ্রকে এজেন্সি-তোপ, নিশানা কমিশনকে

IMG-20250828-WA0153

কারও ভোটাধিকার কাড়তে দেব না, হুঙ্কার মমতার

পরের বছরেই রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন।তার বিহার মডেলে বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।এই আবহেই লাগাতার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকেও জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হুঙ্কার,  ‘বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না তৃণমূল কংগ্রেস’। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার মেয়ো রোডে সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভা থেকেই কেন্দ্র ও কমিশনকে নিশানা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেন, “কিছু হিংসুটে লোক আছে। দেখলেই জ্বলে, আর লুচির মতো ফোলে। এরা হচ্ছে তাই। ১০০ দিনের কাজে পরপর চার-পাঁচ বছর আমরা এক নম্বরে ছিলাম। গ্রামীণ আবাস যোজনা, রাস্তা তৈরিতে এক নম্বরে ছিলাম। তাই সেলফিশ জায়েন্টেরা, যারা হাই লোডেড ভাইরাস, তারা হিংসা করে আমাদের টাকা বন্ধ করে দিয়ে ভাবছে এনআরসি চালু করবে এবং সকলের ভোটাধিকার কেড়ে নেবে। জীবন থাকতে কারও ভোটাধিকার কাড়তে দেব না।” এজেন্সি নিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, “ইলেকশন আসলেই দেখবেন এজেন্সির দাপাদাপি বাড়ে। একটা এজেন্সি নয়। আগে কখনও কেন্দ্রীয় এজেন্সি বিজেপি করত না। কোনও রাজনৈতিক দল করত না।” মমতা বলেন, “তৃণমূলকে শুধু বাম-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় না। সব শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার হলে তখন মুখে বোল ফোটে না। পরশুদিনও হাবরায় এক জন মারা গিয়েছেন। তাঁকে মহারাষ্ট্রে মারা হয়েছিল।” পরিবারতন্ত্র নিয়ে অতীতে একাধিকবার সরব হতে শোনা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতাকে। এ দিনের মঞ্চ থেকে এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন মমতা। তিনি অমিত শাহকে নিশানা করে বলেন, ‘আপনার ছেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। রাজনীতি করলে তো তাঁর কিছুই নেই। এ তো হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার মামলা। এ কি পরিবারতন্ত্র নয়? সমাজতন্ত্র?’ বিজেপি বাংলাকে লাগাতার  অপমান করে যাচ্ছে বলেও দীর্ঘদিনের অভিযোগ তৃণমূলের। সেই প্রসঙ্গে মমতার খোঁচা, “জনগনমন অধিনায়ক জাতীয় সঙ্গীত হল কী করে! বন্দেমাতরম জাতীয় গান হল কী করে! জয় হিন্দ স্লোগান দাও কী করে!” তিনি আরও বলেন, “সারা ভারত থেকে ৫০০ টা দল নিয়ে এসেছে বিজেপি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছে কার কার নাম বাদ দেওয়া যায়। কেউ সার্ভে করতে এলে, কখনও নিজের তথ্য দেবেন না। আপনার ডিটেল নিয়ে গিয়ে আপনার নাম বাদ দিয়ে দেবে। নিজের ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে দেখবেন, নামটা আছে কি না। আধার কার্ডটা করে রাখুন। আধার কার্ডটা কম্পালসরি করে দেওয়া হয়েছে। ললিপপ সরকার বিডিও, এসডিও, ডিএম, পুলিশদের ভয় দেখাচ্ছে। বলছে চাকরি খেয়ে নেব, নয় জেলে পুরে দেব। নির্বাচন কমিশন আসে আর যায়, তার পরে কিন্তু রাজ্য সরকার থাকে। কমিশনের আয়ু নির্বাচন চলাকালীন তিন মাস। গায়ের জোরে এ সব হবে না। ভান্ডারা কিন্তু আমাদের কাছেও আছে। যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার আছে, তেমনি আপনাদের দুর্নীতির ভান্ডারাও আছে। খুলে দেব, ফাঁস করে দেব।” ওবিসি তালিকা সংক্রান্ত মামলার জটিলতার কারণে দু’মাস ধরে থমকে ছিল জয়েন্টের ফল প্রকাশ। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়ে গেলেও আইনি জটিলতার কারণে বন্ধ ছিল কলেজে ভর্তির কেন্দ্রীয় পোর্টালের তালিকা প্রকাশ। হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে রাজ্য সরকার জয়েন্টের ফল প্রকাশের অনুমতি আদায় করে আনে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের দিনই ফল প্রকাশ করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। শুরু হয়ে যায় কলেজে ভর্তিও। বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গ তুলে মামলাকারীদের পাশাপাশি বিচারব্যবস্থার একাংশকে নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বলেন, ‘‘কেউ কেউ ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বড় বড় কথা বলে। তারাই নিয়োগে বাধা দেয়, ভর্তিতে বাধা দেয়। আমি দুঃখিত যে, জয়েন্টের ফল প্রকাশে একটু দেরি হয়েছে। এর জন্য আমাদের দোষ নেই। ওরা কোর্টে কেস করে, একসঙ্গে কেস করে। আবার এসে আমাদের নামে নিন্দা করে। এরা দু’ন

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement