সপ্তর্ষি সিংহ
হাওড়া টু সেক্টর ফাইভ রুটে এসপ্লানেড-শিয়ালদহ মেট্রোপথ জুড়েছে দুই স্টেশন। ফলে যাত্রীদের চাপ ভয়াবহ আকারে বাড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। শিয়ালদহ স্টেশনে দৈনিক দেড় লক্ষ যাত্রী বাড়তে চলেছে বলে আশাবাদী মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রশ্ন হল এত বড় নেটওয়ার্ক চালানোর জন্য পর্যাপ্ত কর্মী কোথায়? নিয়োগ স্তব্ধ, নয়া পরিষেবা সামাল দিতে কর্মী বদলি চলছে, পুজোর মুখে সঙ্কটে পড়বে না তো কলকাতা মেট্রো? মেট্রোতে কর্মী সঙ্কটের চিন্তা বাড়ছে ফলে উত্তর খুঁজছে মেট্রো রেলের কর্মচারী ইউনিয়ন। এদিক ওদিক করে ম্যানেজ দেওয়ার চেষ্টা হলেও তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মেট্রো রেলের কর্মচারী ইউনিয়নগুলি দাবি করেছে, একাধিক বিভাগে পর্যাপ্ত আধিকারিক ও কর্মীর অভাব রয়েছে। ইতিমধ্যে যা জানানো হয়েছে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানকে। পরিসংখ্যান পেশ করে, মেট্রো রেলের কর্মচারী ইউনিয়নগুলি দাবি করেছে, শুধু যে মোটরম্য়ান বা রক্ষণাবেক্ষণের কর্মীরই অভাব রয়েছে তা নয়, নেই পর্যাপ্ত সাফাইকর্মী অবধি।ইউনিয়ন সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে, কলকাতা মেট্রোয় নতুন কোনও নিয়োগ হয়নি। এরমধ্য়ে অনেকেই অবসর নিয়েছেন। অনেক কর্মীকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে, ব্লু, ইয়েলো, অরেঞ্জ, পারপেল, গ্রিন… এতগুলো লাইনে মেট্রো পরিষেবা দেওয়া যাবে, তা নিয়েই চিন্তায় কর্মীদের একাংশ।সূত্রের খবর, নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোর চারটি স্টেশন পরিচালনার জন্য শহরের অন্যান্য মেট্রো থেকে আগেই ২৭ জন আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে। পরবর্তীকালে আরও দু’দফায় রুবি-বেলেঘাটা এবং নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোর বিভিন্ন স্টেশনের জন্য আরও প্রায় ৪০ জনকে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু যে করিডর থেকে বদলি করা হচ্ছে, সেখানকার কর্মী সংখ্যা রীতিমতো তলানিতে ঠেকেছে। সেই কারণে পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ইউনিয়ন সূত্রে খবর, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে এতদিন সাফাইয়ের কাজ দেখত এক বেসরকারি সংস্থা। তাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর, চুক্তি রিনিউ করা হয়নি। ফলে ব্লু লাইন অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর-কবি সুভাষ রুট থেকে সাফাই কর্মী এনে ভারসাম্য় রক্ষা করতে হচ্ছে। এই বিষয়ে মেট্রো রেল প্রগতিশীল কর্মচারী ইউনিয়নের এক নেতা বলছেন, রক্তাপ্লতায় ভুগছিল কলকাতা মেট্রো। এবার সে রক্তশূন্য হয়ে গেল। বারবার বলার পরেও নানা যুক্তি দেওয়া হচ্ছে কিন্তু কর্মী নিয়োগ কবে হবে কেউ জানে না।










