শুভাশিস বিশ্বাস

‘আজ একটু স্মৃতি-তাড়িত হতে দিন।’ শুক্রবার কলকাতায় মোদির মেট্রো প্রকল্প উদ্বোধনের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই লিখতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘ভারতের রেলমন্ত্রী হিসেবে, আমি মেট্রোপলিটন কলকাতায় মেট্রো রেলওয়ে করিডরের পরিকল্পনা এবং অনুমোদন করেছিলাম। নীলনকশা তৈরি করেছি। তহবিলের ব্যবস্থা করেছি। কাজ শুরু করেছি এবং নিশ্চিত করেছি যে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত (জোকা, গড়িয়া, বিমানবন্দর, সেক্টর ফাইভ) যাতে একটি আন্তঃনগর মেট্রো গ্রিডের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারে।’  এদিকে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মেট্রোর তিনটে নতুন রুটের উদ্বোধন করলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তবে উদ্বোধনের আগে এমনই এক ‘আবেগঘন’ বার্তা দিতে দেখা গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। একসময় তিনি-ই রেলমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ২০১১ সালে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন। তারপর মেট্রোর কাজে রাজ্যের অবদানের কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে অংশ নেওয়ার অতিরিক্ত সুযোগ পেয়েছি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশীদার হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন মমতা। তাঁর দাবি, রাজ্যের তরফে বিনামূল্যে জমি দেওয়া, রাস্তা তৈরি, উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের পুনর্বাসন, নানা প্রশাসনিক জট কাটানো— সব দিকেই সহযোগিতা করা হয়েছে। বিভিন্ন বাস্তবায়নকারী সংস্থার সমন্বয় সাধনে মুখ্যসচিবরা ধারাবাহিকভাবে বৈঠক ডেকেছেন বলেও জানান তিনি। রেলমন্ত্রী হিসেবে যে পরিকল্পনা করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রিত্বে এসে তারই পূর্ণতা দেখেছেন মমতা। শেষে তিনি লেখেন, ‘মেট্রো পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ আমার জন্য একটি দীর্ঘ যাত্রা ছিল। আজ আমাকে কিছুটা নস্টালজিক হতে দিন।’ এদিন আবার রাজ্য সিপিএমের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয়, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডর পূর্বতন বামফ্রন্টের সরকারের দূরদর্শিতার ফল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সিপিএমের তরফ থেকে লেখা হয়, ‘কলকাতার ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো করিডর- বামফ্রন্ট সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনার ফসল। ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী, সাংসদ সুধাংশু শীল, অমিতাভ নন্দী, তড়িৎবরণ তোপদার, মহম্মদ সেলিম-সহ বহু বিশিষ্ট মানুষের উপস্থিতিতে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হয়।’