৪৫টি বাড়িতে জন্মাষ্টমীর পূজো করেন  সুকুমার ভাদুড়ী

IMG-20250816-WA0072

শিলিগুড়ি: একটা নয় দুটো নয়, গত ১৫ বছর ধরে  ৪৫টি গোপাল রেখেছেন বাড়িতে। কথাটা অবিশ্বাস্য লাগলেও সত্যি। সেভাবেই পূজো করে যান  সুকুমার ভাদুড়ী এবং অরুনা ভাদুড়ি তারা জানালেন গত ১৫ বছর ধরে  গোপাল  বাড়িতে এনেছেন। কিভাবে সব কিছু ঠিকঠাক রাখেন? তারা জানালেন সবকিছুই ভগবানের আশীর্বাদ। আজকে আমি সব পড়ে যাচ্ছি, গোপালকে ঠিকমতো খাওয়ানো, গোপালকে শুইয়ে দাওয়া  এবং অন্যান্য জিনিস। সুকুমার ভাদুরি বাবুর ঘরে গিয়ে দেখা গেল ঠাকুর ঘরে শুধুই গোপাল। তিনি জানালেন  আমার মেয়ে যখন মাধ্যমিক দিয়ে দিল তখন থেকেই আমি গোপাল কিনতে শুরু করি, সেখান থেকে আজকে এখানে দাঁড়িয়েছে ব্যাপারটা। ভালো লাগে, ভগবানের আশীর্বাদ আছে বলেই তো  এত কাজ একসাথে করতে পারি। সংসার করছি, মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করেছি দেশে বিদেশে গেছি  ভগবানেরও  আরাধনা করছি। সুকুমার বাবু এবং অরুনা ভাদুড়ি দুজনেই জানালেন  আমাদের এতে কোন সমস্যা তৈরি হয় না। ঈশ্বর আমাদের শক্তি দেন, ওই শক্তি নিয়ে  আমরা আজ এগিয়ে চলেছি। আজকের জন্মাষ্টমী  আজকে সুকুমার বাবুর বাড়ির বিরাট আয়োজন। তার স্ত্রী অরুনা ভাদুড়ি জানালেন তিনিই সব করেন, আজকে পুজো শুরু হবে সন্ধ্যায়  একে একে ৪৫ জন গোপালের আরাধনা হবে। সত্যিই অবিশ্বাস্য  কীর্তি করে চলেছেন সুকুমারবাবু এবং তার স্ত্রী, যেটা ভাবাই অসম্ভব। সুকুমারবাবু নিজে জানালেন  বাজার আমি করি, আর ঘরের কাজগুলো আমার স্ত্রী করে। ঠাকুরকে দেখা ঠাকুরের জন্য প্রসাদ অন্যান্য কিছু সব আমার স্ত্রী করেন। বলতে পারেন এটাই আশীর্বাদ  জানালেন সুকুমার বাবু এবং তার স্ত্রী। ভগবানের আশীর্বাদই আমরা এগিয়ে যাব। জানিয়ে দিলেন তারা। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শিলিগুড়ির পুরানো বাজারের  সত্য নারায়ণের মন্দির  সাজানো হচ্ছে। বড় মন্দির এই মন্দিরটি। চার পাঁচজন পুরোহিত আছেন, সবাই মিলেই সাজিয়ে তুলছেন  গোপালের সিংহাসন কে। সকাল থেকেই এই উপলক্ষে  ভক্তদের উপস্থিতির সংখ্যা  দেখবার মতন। জন্মাষ্টমীর পুজো সাধারণত সন্ধ্যার পরেই শুরু হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সময় ধরেই শুরু হয় এই পুজো। মহিলারা সবাই  চলে এসেছেন এই মন্দিরে। আয়োজন এখনো সম্পূর্ণ না হলেও  বিকেলের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে দাবি পুরোহিতদের।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement