একই দিনে দু’রকম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বলিউডের ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমার। প্রথমেই শিরোনামে আসে তাঁর বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কড়া পদক্ষেপ। কালো কাচ লাগানো গাড়িতে করে অক্ষয়কে নামানোর পরই বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই গাড়ি। জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড়ের ওই এসইউভি গাড়িটি জম্মুর ডোগরা চকে ট্রাফিক পুলিশের এএসআই আটক করেন। কারণ সেখানকার আইন অনুযায়ী রাজ্যে এমন কাচ বা গাড়ির কোনও অবৈধ পরিবর্তন নিষিদ্ধ—তারকা হলেও নিয়ম সবার জন্য একই। এএসআই স্পষ্ট জানিয়েছেন, “জম্মুতে গাড়িতে কালো কাচ লাগানোর অনুমতি নেই, তাই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু এদিন অক্ষয়ের জন্য আরও বড় খবরেরদিন —প্রত্যাবর্তন ঘটল ‘জলি এলএলবি’ ফ্র্যাঞ্চাইজির নতুন অধ্যায়ে। ৯০ সেকেন্ডের টিজারে মুখোমুখি দুই জলি—অক্ষয় কুমারের জলি মিশ্র আর আরশাদ ওয়ার্সির জলি ত্যাগী। এবং আবারও এদের দু’জনের মাঝখানে বিপাকে বিচারপতি ত্রিপাঠি (সৌরভ শুক্লা)। একদিকে জুগাড়ু জলি ত্যাগী, অন্যদিকে তীক্ষ্ণ কথা বলা জলি মিশ্র—কোর্টরুমে শুরু হয় টানা টুকরো সংলাপ, ব্যঙ্গ, পালটা প্রশ্নে ভরা হাসির দমক।ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন সুভাষ কাপুর। প্রযোজনা অলোক জৈন ও অজিত অন্ধারে, উপস্থাপনায় স্টার স্টুডি ও১৮। কাস্ট লিস্টে রয়েছেন অক্ষয়, অর্শদ, সৌরভ শুক্লা, হুমা কুরেশি, আমৃতা রাও, গজরাজ রাও। মুক্তির তারিখ ঠিক হয়েছে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর। প্রসঙ্গত,বলিউডে অক্ষয় কুমারের মজা করার খ্যাতি, পিছনে লাগার স্বভাব কারও অজানা নয়। রীতিমতো সুবিদিত।
সেটে সহ-অভিনেতা থেকে শুরু করে কলাকুশলীদের সঙ্গে হালকা ঠাট্টা-মস্করায় তিনি রীতিমতো পারদর্শী। তবে প্রশ্ন হল, সেই দুষ্টুমি কি বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চনকেও ছাড় দেয়? জবাব হল, একদম না!২০০৫ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘ওয়াক্ত: দ্য রেস এগেইনস্ট টাইম’ ছবির প্রচারের সময় অমিতাভ অক্ষয়ের দুষ্টুমি প্রসঙ্গে মজা করে বলেছিলেন, “অক্ষয় দুর্দান্ত অভিনেতা, তবে পাশাপাশি একটু ‘চালাক চোর’-ও! ওর হাত এতটাই নিখুঁত চলে যে কখন হাত মেলাতে গিয়ে নিজের ঘড়ি বা আংটি গায়েব হয়ে যাবে, আপনি টেরও পান না!” ‘শাহেনশাহ’ আরও বলেন, “তাই আমরা যারা সেটে যাই, শুটিং শুরু হওয়ার আগে সব দামী জিনিস – ঘড়ি, চেন, আংটি খুলে রাখি! ওর সঙ্গে কাজ করা মানে হাসি, মজা আর একের পর এক চমকের ফোয়ারা!‘ওয়াক্ত’ ছবিতে অমিতাভ-অক্ষয় আবারও বাবা-ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালের এই পারিবারিক ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন বিপুল অমৃতলাল শাহ। ছবিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বোমান ইরানি ও শেফালি শাহের মতো শক্তিশালী অভিনেতারাও ছিলেন। দায়িত্ববোধ, সময়ের মূল্য, এবং বাবা-ছেলের টানাপড়েন নিয়ে তৈরি এই ছবি দর্শকমনে দাগ কেটে গিয়েছিল। এই ছবির পাশাপাশি অমিতাভ ও অক্ষয় একসঙ্গে কাজ করেছেন ‘এক রিশতা’ (২০০১), ‘আঁখে’ (২০০২), ‘খাকি’ (২০০৪), ও ‘ফ্যামিলি’ (২০০৬)-র মতো ছবিতে। তাঁদের জুটিকে পর্দায় বারবার দেখা মানেই নস্ট্যাললজিয়া, আবেগ, আর বিনোদনের মিশেল।বর্তমানে অমিতাভ বচ্চন ব্যস্ত ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ সিজন ১৭-এর শুটিংয়ে। অন্যদিকে, জলি এলএলবি ৩-এর পর অক্ষয় কুমারকে সামনে দেখা যাবে প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় ‘ভূত বাংলো’ ছবিতে, যেখানে রয়েছেন বামিকা গাব্বি ও পরেশ রাওয়াল। এছাড়াও ‘হেরা ফেরি ৩’-এও আবার ফিরছেন অক্ষয়-সুনীল-পরেশ ত্রয়ী।