সংসারের হাল ধরতে খুদে স্কুল পড়ুয়া স্টেশনে হকারি করছে

IMG-20250812-WA0082

কয়েক মাস আগে তার বাবা গোপাল প্রসাদ টিবি  রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মা মুনমুন প্রসাদ তাদের একমাত্র ছেলে দেবপ্রসাদ বয়স মাত্র ১১  বছর। বৈদ্যবাটি উত্তরপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। পড়াশোনায় ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করে। বাবার মৃত্যুর কারণে কার্যত অচল হতে বসা সংসারের হাল ধরতে হয়েছে ১১ বছরের কিশোরটিকে। সে রোজগার করা শুরু করেছে। সে শেওড়াফুলি স্টেশনে তারকেশ্বরের ভক্তদের বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করছে। এই শ্রাবণ মাসে শেওড়াফুলি স্টেশনে প্রচুর ভিড় হয়। সে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হকারি করে। দেব প্রসাদের বাড়ি বৈদ্যবাটি বালিঘাট এলাকায়। তাদের আদিবাড়ি উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার চিৎবরকা গাঁও তে। তার দিদি দিব্যা প্রসাদ সুরেন্দ্রনাথ বালিকা বিদ্যালয় এর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তবে পড়ুয়াদের প্রাইভেট টিউশনের খরচ চালাতে হয়। মা মুনমুন রাজ্য সরকারের প্রকল্প লক্ষীর ভান্ডারের এক হাজার টাকা পান। তাই শেওড়াফুলি স্টেশনে হকারী করা শুরু করলো ছেলেটি। সকালবেলা প্রচুর খাটাখাটনির পর ৮০০ টাকা রোজগার হয়। টাকা মাকে দিয়ে দেয়। বাড়ি আসে দুপুরে। দেবপ্রসাদের মা মুনমুন বলেন আমরা তো অসহায়। ছেলে বাধ্য হয়ে হকারি করে। তার এই বয়সে খেলার, পড়াশোনার। কিন্তু ছেলেকে হকারি করতে হচ্ছে। একজন মায়ের পক্ষে এটা মেনে নেওয়া যে কতটা কষ্টের তাকে বলে আমিই জানি। ওকে পড়াশোনার জন্য রামকৃষ্ণ মিশন  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে চাই। সেখানে মহারাজরা দেখভাল করবেন। তাই কোন সহৃদয় ব্যক্তি আর্থিক সাহায্য করলে  ভালো হয়। 

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement