যত কাণ্ড এখন বিহারে! বিধানসভা নির্বাচনের আগে এস আই আর করে সেখানে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে। আর এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সামনে আসছে নানা হাস্যকর তথ্য। এর মধ্যেই ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য ‘ডগ বাবু’, ‘ডগেশ বাবু’, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’ রা শংসাপত্র চেয়েছেন।
এ বার বিহারের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন করলেন ‘ক্যাট কুমার’। বিহারের ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার সময়েই সামনে এল এমন কাণ্ড। বিহারের রোহতাসে এমন কাণ্ড ঘটেছে। আবেদন পত্রে বিড়ালের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আবেদনকারীর নাম লেখা হয়েছে ‘ক্যাট কুমার’। বাবার নাম হিসেবে লেখা হয়েছে ‘ক্যাটি বস’ এবং মায়ের নাম লেখা হয়েছে ‘ক্যাটিয়া দেবী’। বিহারের নাসিরগঞ্জ থানা এলাকার আতিমিগঞ্জ গ্রামের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে আবেদন পত্রে। গোটা ঘটনায় সম্প্রতি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে নাসিরগঞ্জের রেভিনিউ অফিসার কৌশল প্যাটেল। প্রশাসনের তরফে অভিযোগ, সরকারি কাজে সমস্যা তৈরির জন্য এই আবেদন করা হয়েছে। কী ভাবে এই আবেদন করা হলো এবং কে বা কারা এর পিছনে রয়েছে, তা খুঁজে দেখছে পুলিশ। ঘটনাটি নজরে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ এবং নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এই কাজের জন্য কমিশন ১১টি নথির কথা উল্লেখ করেছে। ওই ১১টি নথির মধ্যে রয়েছে কোনও এলাকায় স্থায়ী ভাবে বসবাসের শংসাপত্রও। এসআইআর ঘিরে যেমন বিতর্ক চলছে, তেমনই বিহারে একের পর এক অদ্ভুত নামে শংসাপত্রের আবেদন ঘিরেও বিতর্ক চলছে। রোহতাসে ‘ক্যাট কুমার’ নামে এই অদ্ভুত আবেদনকারীর বিষয়টি নজরে আসতেই পদক্ষেপ করেছে জেলা প্রশাসন। রাজস্ব আধিকারিক কুশল পটেলকে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক উদিতা সিংহ। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। স্থায়ী ভাবে বসবাসের ওই আবেদনপত্রের সঙ্গে একটি মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আই়ডিও উল্লেখ করা হয়েছে। সঙ্গে এ-ও উল্লেখ রয়েছে আবেদনকারী রোহসতাসের নসরিগঞ্জ ব্লকের বাসিন্দা। কোন গ্রাম, তা-ও উল্লেখ রয়েছে। এই সংক্রান্ত তথ্যগুলি যাচাই করে দেখছেন আধিকারিকেরা। জেলা প্রশাসনের তরফে থানায় জানানো হয়েছে, আবেদনকারীরে এই কাণ্ডে সরসারি কাজে বিঘ্ন ঘটছে। সরকারি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সাধারণ মানুষের কাছে প্রশাসনের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা হয়েছে বলেও অভিযোগ জেলা প্রশাসনের।দিন কয়েক আগে পটনার মসৌড়ী আঞ্চলিক অফিস থেকে দেওয়া একটি শংসাপত্রকে কেন্দ্র করে শোরগোল শুরু হয় বিহারে। ওই শংসাপত্র অনুযায়ী, ‘ডগ বাবু’ পটনা জেলার কৌলিচক এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিহার সরকারের সিলমোহরও ছিল ওই শংসাপত্রে। নীচে ছিল আঞ্চলিক অফিসের রাজস্ব আধিকারিক মুরারী চৌহানের ডিজিটাল স্বাক্ষর। সেই বিতর্কের পরে ‘ডগেশ বাবু’, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’ নামেও আবেদনপত্র জমা পড়ে। তা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। এ বার আরও এক অদ্ভুত আবেদন জমা পড়ল বিহারে।