কয়েকদিন আগেই ভারতের অর্থনীতি নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁরই সুরে সুর মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আক্রমণ করতেও দেখা গিয়েছিল রাহুল গান্ধিকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনে করেন, ভারতের অর্থনীতির দ্রুত উত্থান হচ্ছে। রবিবার বেঙ্গালুরুতে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দ্রুত তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হিসাবে পরিচিতি পাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই গতি এসেছে আমাদের কাছে সংস্কার, কর্মক্ষমতা এবং পরিবর্তনের ভাবনা থেকে। আমাদের সুস্পষ্ট লক্ষ্য এবং সৎ প্রচেষ্টা থেকে এই গতি এসেছে।” একইসঙ্গে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন মঞ্চে অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন মোদী। তিনি জানান, অপারেশন সিন্দুরে আমাদের সেনার তরফে সন্ত্রাসবাদী ও পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করার ক্ষমতা গোটা বিশ্ব দেখেছে। এই বিরাট সাফল্যের নেতৃত্বে রয়েছে আমাদের প্রযুক্তি ও মেক ইন ইন্ডিয়া। অপারেশন সিন্দুরে বেঙ্গালুরুর যুবকদের সহযোগিতাও অনেকখানি। রবিবার বেঙ্গালুরুতে কেএসআর স্টেশন থেকে ৩টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন তিনি। এই তিন বন্দে ভারতের গন্তব্য বেলগাভি, অমৃতসর হয়ে বৈষ্ণদেবী ও নাগপুর হয়ে পুণে। এছাড়া ২২ হাজার কোটির প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন প্রধানমন্ত্রী। যার মাধ্যমে বেঙ্গালুরু মেট্রোর অরেঞ্জ লাইন গঠিত হবে। পাশাপাশি বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় পর্যায়ের মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে ইয়োলো লাইনের মেট্রোতে সফর করেন নরেন্দ্র মোদী। আরভি রোড থেকে বোম্মাসান্দ্রা পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটারের এই মেট্রোপথ নির্মাণে খরচ হয়েছে ৭,১৬০ টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বেঙ্গালুরু দেশের অন্যতম বড় শহর। মেক ইন ইন্ডিয়ায় বেঙ্গালুরুর সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে। আমরা তখনই এগিয়ে যেতে পারব যখন আমাদের শহর ফাস্ট ও মর্ডান হবে। আমি আশা করি কর্নাটকের প্রতিভা আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিকে নেতৃত্ব দেবে। কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা রাজ্য সরকার, উভয়ই জনগণের সেবায় নিয়োজিত। আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে এবং আমাদের নাগরিকদের উন্নতির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।” এদিন ডিজিটাল ভারতেরও প্রশংসা করে মোদী বলেন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ণ দেশের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্র এবং রাজ্য একজোট হয়ে বিকশিত ভারত গঠনের সংকল্পকে বাস্তবায়িত করবে। আজ দেশের প্রতিটি গ্রামে ডিজিটালাইজেশন পৌঁছে গিয়েছে। বিশ্বের রিয়েল টাইম ইউপিআই লেনদেনের ৫০ শতাংশ ভারতে হয়। সরকার এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যবধান কমাতে আজ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা করতে হবে, নেতৃত্বও দিতে হবে। আমাদের শহরগুলি স্মার্ট, ফাস্ট ও মর্ডান হলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারব।”











