শিয়ালদা-রানাঘাট এসি লোকালের উদ্বোধনের দিনই উত্তেজনার সৃষ্টি হল দমদম স্টেশনে। সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি। রবিবার এসি লোকালের উদ্বোধন হয়।
দমদম স্টেশনে এসি লোকাল থেকে নামতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে দেখে তৃণমূল স্লোগান তোলে। দমদম স্টেশনে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। রবিবার শিয়ালদা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত চালু হয়েছে নতুন এসি লোকাল পরিষেবা। এই ট্রেন দমদমে ঢোকার পর নেমে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। আর তাঁকে দেখেই স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয়। উত্তেজনার পারদ ওঠে চরম। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামতে একপ্রকার বাধ্য হয় আরপিএফ। আচমকাই পরিস্থিতি মারাত্মক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু’পক্ষের মধ্যে রীতিমতো হাতাহাতি শুরু হয়। তুমুল উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রবিবার রানাঘাট-শিয়ালদহ এসি লোকালের উদ্বোধন হয়।
শিয়ালদহ স্টেশনে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য, সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ সরকার, শান্তনু ঠাকুররা। এসি ট্রেনে সওয়ার হন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মী, সমর্থকরা। দুপুর ১২টা নাগাদ ট্রেন উদ্বোধনের পর তাতে চড়ে শিয়ালদহ থেকে দমদম পর্যন্ত আসেন তাঁরা। সুকান্ত ও অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা দমদমে নেমে স্টেশনের বাইরে আসেন। সেখানে স্বামী বিবেকানন্দর মূর্তিতে মালা দিতে যান সুকান্ত মজুমদার। অভিযোগ, সেসময় তাঁকে ঘিরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন উপস্থিত তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা। তৃণমূল কর্মীরা মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলেও অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের।এই পরিস্থিতিতে সুকান্তদের কর্মসূচি বাধা পায় এবং তৃণমূল-বিজেপি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। দমদম স্টেশনের বাইরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সুকান্ত মজুমদার বলেন, ”ওরা মহিলাদের হাত ধরে টানাটানি করেছ। এটা অসভ্যতা। অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই তো এরকম। যারা কসবা কাণ্ড ঘটায়, তারাই তো এখানে উপস্থিত। আর এত যদি বাংলার প্রতি প্রেম, তাহলে ইউসুফ পাঠানকে বাদ দিয়ে কোনও বাঙালিকে আনুক। কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহারা কি বাঙালি?”
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে বাংলা ও বাঙালির উপর অত্যাচারের ভুরি ভুরি অভিযোগ তুলছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। এসব চলছে মূলত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। তার প্রতিবাদে চড়া সুর শাসকদল তৃণমূলের। সেই আবহেই এদিনের এই ঘটনা।