সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় কমিশনের

IMG-20250804-WA0155

‘নোটিস ছাড়া ভোটারের নাম বাদ নয়’

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিহারে এসআইআর-এর মাধ্যমে ভোটার তালিকা সংশোধন করছে নির্বাচন কমিশন। এই আবহে অনেকের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে নোটিস না পাঠিয়ে এবং শুনানির সুযোগ না দিয়ে বিহারের ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ দেওয়া হবে না। সুপ্রিম কোর্টে এক নতুন হলফনামা দাখিল করে এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, এই সংশোধন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে যাঁরা আদালতে আবেদন করেছেন, তাঁরা আসলে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে যে, কোনো ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আগে তাকে অবশ্যই নোটিশ দেওয়া হবে এবং তার বক্তব্য শোনার সুযোগ দেওয়া হবে। গত ১ আগস্ট একটি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই খসড়া তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে। এই নিয়ে মামলাও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। গত ৬ আগস্টের শুনানিতে অন্যতম মামলাকারী পক্ষ অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস-এর তরফে অভিযোগ করা হয় যে, ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম স্বচ্ছতার সঙ্গে বাদ দেওয়া হয়নি। কী কারণে ওই ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হল, তা-ও স্পষ্ট করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন এডিআর-এর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। শীর্ষ আদালতে প্রশান্ত জানান, খসড়া ভোটার তালিকার পূর্ণাঙ্গ প্রতিলিপি সব রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয়নি। বুথ স্তরের নির্বাচনী আধিকারিক বা বিএলও-রা যথাযথ নথি যাচাই করার আগেই ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়। তার পরেই এই বিষয়ে কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা চায় বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞা এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চ। আগামী ১২ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালতে ওঠা অভিযোগের জবাব দিয়ে কমিশন হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, যাতে বৈধ কোনও ভোটারের নাম বাদ না-যায়, তার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছে। ১০ দফায় নথি যাচাইয়ের কাজ হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলিকেও শামিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। তা ছাড়া মামলাকারী পক্ষের অভিযোগ খারিজ করে কমিশন জানিয়েছে, বিএলও-রা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করেছেন। যাঁদের কাছ থেকে ফর্ম পাওয়া যায়নি, তাঁদের নাম পাঠানো হয়েছে বুথ স্তরের এজেন্ট এবং স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলির কাছে। ২০ জুলাই নামের তালিকা দেওয়ার পরে ১ অগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছে কমিশন। তালিকায় সংযোজন-বিয়োজনের পর রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের কাছে নতুন তথ্য ফের তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

About Author

[DISPLAY_ULTIMATE_SOCIAL_ICONS]

Advertisement