শনিবার ছিল রাখি বন্ধন উৎসব। একইসঙ্গে আরজিকর হাসপাতালে তিলোত্তমার খুন ও ধর্ষণের ঘটনার এক বছর পূর্ণ হল। শনিবার নবান্ন অভিযান থেকে নির্যাতিতার মেয়ের সুবিচারের দাবিতে কখনও স্লোগান তুললেন, কখনও বা মাইক হাতে ব্যারিকেডের সামনে দাঁড়িয়ে মুঠো উঁচিয়ে বোঝাতে চাইলেন লড়াইয়ের মাঠ তাঁরা সহজে ছাড়বেন না।
এদিন মিছিল থেকে নির্যাতিতার মা জানালেন, মহিলা পুলিশের লাঠির আঘাতে তাঁর কপাল ফুলেছে। শুধু ফোলা বললে ভুল হবে, যেটাকে চলতি বাংলায় বলে ফুলে আলু। ভেঙেছে হাতের শাঁখা পলাও। পরে বিকেলে বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
একইসঙ্গে তিলোত্তমার বাবা বলেন, “ভয় পেলে মানুষ অনেক কিছু করেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই চেষ্টা করছেন। মহাভারতের যুদ্ধ হয়েছিল কারণ দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হয়েছিল। নাহলে হত না। এটাও যুদ্ধ। আমারও প্রতিজ্ঞা যতবার ব্যর্থ হব ফের লড়ব। বিচার আনবই। কোনও সময় আমরা থামব না।”
এদিন পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অভিযোগ, এই সময় মহিলা পুলিশকর্মীদের লাঠির আঘাতে নির্যাতিতার মায়ের কপালে চোট লাগে, কপাল ফুলে যায়, হাতের শাঁখা পলা ভেঙে যায়।